এবিএনএ : ইল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে হারিয়ে তুলেছিল ১০৬ রান, বাংলাদেশের সেটি ২২১। এ তো দ্বিগুণেরও বেশি! কিন্তু পরের ৫ উইকেটে ইংল্যান্ড যতটা এগিয়েছে, বাংলাদেশ ঠিক বিপরীত।
ইংল্যান্ড পরের ৫ উইকেটে যোগ করেছে ১৮৭ রান। ইংলিশদের ইনিংসের প্রায় ৬৪ শতাংশ রান জোগান দিয়েছেন লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। তাদের সবচেয়ে বড় জুটিই হয়েছে ষষ্ঠ উইকেটে এসে। মঈন আলী-জনি বেয়ারস্টোর ওই জুটিতে উঠেছে ৮৮ রান। মাঝারি কয়েকটি জুটিও হয়েছে এর পরে। বেয়ারস্টো-ক্রিস ওকস সপ্তম উইকেটে তোলেন ৪৩ রান, এমনকি ৯ম উইকেটে আদিল রশিদ-স্টুয়ার্ট ব্রড ৩১ রান যোগ করে নিচের দিকের ব্যাটসম্যানরা অনেকটাই ঢেকে দিয়েছেন টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। সাতে নামা বেয়ারস্টো ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি করে। এমনকি পেসার ওকসও করেছেন ৩৬ রান ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের অবশ্য খুব একটা ব্যর্থ বলা যাবে না। বরং দলকে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানেই তারা নিয়ে গিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের মতো না হোক, বাংলাদেশের লোয়ার ব্যাটসম্যানরা যদি সেটির অর্ধেকও করতেন তবুও মুশফিকরা নিশ্চিত লিড পেয়ে যেতেন। ইংল্যান্ডের শেষ ৫ ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত রান ১২৮, সেখানে বাংলাদেশের মাত্রই ২৫। সাব্বির বাদে দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি আর কেউ। শফিউল ইসলাম-সাব্বিরের সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ ১৭ রান যোগ হয়েছে। এর মধ্যে ষষ্ঠ ও শেষ উইকেট জুটিতে তো রানই তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। অথচ দুই দল প্রায় একই ধরনের স্কোয়াড নিয়ে খেলতে নেমেছে। ব্যাটিংয়ের গভীরতা আট নম্বর পর্যন্ত। সাব্বির-মেহেদী যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গভীরতা বেড়েছে। যদিও তার প্রতিফলন থাকল না প্রথম ইনিংসে।
প্রথম ইনিংসে দুই দলের লেজের ব্যবধানটা বুঝতেই পারছেন। তবে ইংল্যান্ডের লেজটা যে বেশ শক্তপোক্ত। আদিল রশিদের ১০টি প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি আছে, ৩৫টি ফিফটিও। স্টুয়ার্ট ব্রডের তো টেস্টেই একটি সেঞ্চুরি আর দশটি ফিফটি আছে। অভিজ্ঞতা কিংবা সামথ্যে পার্থক্য যতই হোক, বাংলাদেশের শেষ ৫ পাঁচ ব্যাটসম্যান ২৫ রান তুলে দেবেন, তা মানা যায় না। টেল এন্ডাররা যদি ঠিকমতো সঙ্গ দিতে না পারেন, তাহলে আট পার্যন্ত ব্যাটসম্যান রেখেও যে কোনো লাভ নেই। দুই দলের এই পার্থক্যটাই না আবার চট্টগ্রাম টেস্টের পার্থক্য গড়ে দেয়!