এবিএনএ : বগুড়ার শেরপুরে বোমা বিস্ফোরিত বাড়িটিতে সকাল ১০টা থেকে কাজ শুরু করেছে ডিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয় দল। এরইমধ্যে বাড়িটি থেকে বেশকিছু গ্রেনেড, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অভিযানে ১০টি গ্রেনেড, চারটি বিদেশি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি এবং অর্ধশতাধিক ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএমপির এএসপি রহমতুল্লাহ এই তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, নববর্ষে নাশকতা ঘটানোর লক্ষ্যে ওই বাড়িতে জেএমবি বা তার আদলে অন্য কোন জঙ্গি সংগঠন বোমাগুলি তৈরি করছিল।
রবিবার রাতে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের জোয়ানগ্রামের ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমানের ভাড়া দেয়া বাসায় বোমা বিস্ফোরিত দু’জন নিহত হয়। এদের একজন মিজানুর রহমান নামের ভাড়াটিয়ার নিকটাত্মীয় বলে পুলিশ নিশ্চিত হলেও তার নাম জানতে পারে নি। মিজান নিজেকে সিএনজি চালক পরিচয় দিয়ে স্ত্রী-কন্যাসহ প্রায় সাত মাস আগে এই বাড়ি ভাড়া নেয় বলে জানিয়েছেন মাহবুবুর রহমানের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার পলি।
সোমবার সকালে ঢাকা থেকে ডিএমপির এএসপি রহমতুল্লাহর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সকাল ১০টার দিকে তারা ওই বাড়িতে ঢুকে অবিস্ফোরিত বোমাগুলো উদ্ধার শুরু করে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কয়েকটি ব্যাগে মোড়ানো বেশ কিছু গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।
এদিকে, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সায়ুফজ্জামান ফারুকী জানান, সামনে পহেলা বৈশাখ। আর এই উৎসবকে ঘিরে বড় ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনা নিয়েই বোমাগুলো তৈরি করা হচ্ছিল বলে তাদের প্রাথমিক ধারণা। এটি নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি সদস্যদের কাজ বলেও ধারণা করছে পুলিশ।