এবিএনএ : গাইবান্ধা-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডকে সন্ত্রাসীদের নতুন অধ্যায় বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসীরা হয়তো নতুন কৌশল নিয়েছে।
রবিবার সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে ঘাতকরা যেই হোক, তারা ধরা পড়বে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ১৮ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরা হয়েছে। বাকিদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে তৎপর রয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, কোনো অপরাধী ছাড় পাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল সাংসদ লিটন তার বাসায় ছিলেন। দুটি মোটরসাইকেলে পাঁচজন লোক হঠাৎ করে সাংসদের ওপর আক্রমণ করে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ ঘাতকদের গ্রেপ্তারে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওই এলাকায় আশপাশের মোবাইল টেলিফোনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। অচিরেই ঘাতকদের শনাক্ত করে ধরে ফেলতে পারব। আমাদের সব ধরনের গোয়েন্দা তৎপরতা রয়েছে, তারা কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা সংস্থার ওপর আমাদের আস্থা আছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘সরকারের ওপর কোনো ধরনের থ্রেড (হুমকি) নেই। এ ধরনের থ্রেডের কোনো প্রশ্নই আসে না। অতীতের ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন হয়নি, এখনো নয়।’ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব ধরনের ডাইমেনশন নিয়ে কাজ করছি। ব্যক্তিগত বিরোধ, ব্যবসায়িক বিরোধ, রাজনৈতিক বিরোধ ও জঙ্গি- সব ধরনের সন্দেহ নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হচ্ছে।’
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। পরে রংপুর মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, তার বুকে ও হাতে ছয়টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে এক প্রতিক্রিয়ায় পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক জানান, তিনি এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরকে সন্দেহ করছেন। কারণ এলাকাটি জামায়াত অধ্যুষিত।
তবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন লিটন হত্যায় জামায়াতের পাশাপাশি জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা মাথায় রেখে এগোচ্ছে বলে জানায় তারা। সন্দেহের বাইরে রাখছে না অভ্যন্তরীন কোন্দলও।