এ বি এন এ : রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গণভবনে বিকাল ৪টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির রামপাল বিরোধী অবস্থানের প্রেক্ষিতেই এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে বুধবার বিকালে গুলশানের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি পরিকল্পনা এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে দল ও জোটের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে এবং পরিবেশ নষ্ট হবে, পানি দূষিত হবে। বনাঞ্চলের পশু পাখির জীবনচক্র ক্ষতির মধ্যে পড়বে।
এছাড়া রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
কমিটির পক্ষ থেকে ২০ আগস্ট সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে না আসলে ২৪ নভেম্বর ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি এবং ২৬ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগ পর্যন্ত জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে সমাবেশ, কনভেনশন করার পাশপাশি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে খোলাচিঠি, ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দেয়ার কর্মসূচিও পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
তবে এসব অভিযোগ ও আন্দোলন বিষয়ে সরকার তেমন সাড়া না দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছে।
শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সব অভিযোগের জবাব দেয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবেন বলেই ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ১২ জুলাই দুশ’ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থায়নে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করতে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (ভেল) এবং বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিলি) স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিলি) ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার নামের এই কেন্দ্র স্থাপন করবে।