এবিএনএ : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও হার্দিক পান্ডিয়ার দুটি ‘নো বল’ নিয়ে কম কথা হয়নি। ওই দুটি ‘নো বল’ই যে ভারতকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছিল। ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও যেটা অকপটেই স্বীকার করেছিলেন।
আর সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ভারতের হারের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় অশ্বিন ও পান্ডিয়াকে। বিশেষ করে অশ্বিনকে। তার বলেই তো প্রথমবার ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন লেন্ডল সিমন্স। পরে পান্ডিয়ার বলে আরেকবার। সেই সিমন্সই শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের নায়ক।
অন্যদিকে খলনায়কে পরিণত হন অশ্বিন আর পান্ডিয়া। ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার তো এটাও বলেছিলেন যে, স্পিনারের নো বল মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার মতে, পেসাররা অনেক সময় ইয়র্কার বা বাউন্সার করতে গেলে ‘ওভার স্টেপ’ হতে পারে। কিন্তু স্পিনারের কেন?
ওয়াংখেড়ের সেই নো বলের ঘটনা এখনো ভুলতে পারেননি অশ্বিন। আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের উদ্বোধনী ম্যাচ-পূর্ববতী সংবাদ সম্মেলনেও উঠে এলো নো বল প্রসঙ্গ। এ নিয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে অশ্বিনকে প্রশ্ন করা হলে পুনের অফস্পিনার বলেন, ‘এই ঘটনার পর তিন দিন আমি কোনো সংবাদপত্র পড়িনি। কে কী বলছেন, সেটাও শুনিনি। কারণ আমি মনে করি একটি নো বলের জন্য আমাকে খলনায়ক বানানো ঠিক হয়নি।’
কেন নো বল হয়েছিল তার কারণও ব্যাখ্যা করলেন অশ্বিন। সেদিন শিশির থাকার কারণে বল গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছিল ভারতীয় স্পিনারের, ‘তখন শিশির ছিল বলে আমি ঠিকমতো বল করতে পারছিলাম না। তারপরও প্রথম ১২ বলে উইকেট পাওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলাম আমি।’
ম্যাচ শেষে ধোনির দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গও উঠল এদিনের সংবাদ সম্মেলনে। এর পরেই অবশ্য পুনের মিডিয়া ম্যানেজার রাসেল রাধাকৃষাণ সাংবাদিকদের থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘মাফ করবেন, এটা আইপিএল; তাই এটা নিয়েই কথা হোক।’ পরে আইপিএল নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন অশ্বিন।