এ বি এন এ : ২১ সদস্যের প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট করে ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
চারস্তর বিশিষ্ট নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি (সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ) জেলা পরিষদের প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নেবে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রস্তাবিত সংশোধন আইনেন খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠেকর পর দুপুরে সচিবালেয় মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অধ্যাদেশ জারি করে আইন কর্যকর করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ সদস্য এবং ৫ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনের মাধ্যম প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।
ভোট দেবেন চারস্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। যেসব জেলায় সিটি করপোরেশন নেই, সেসব জেলায় তিনস্তরের জনপ্রতিনিধিরাই ভোট দেবেন।
সংসদ অধিবেশনের অপেক্ষা না করেই অধ্যাদেশ জারির প্রয়োজন হলো কেনো জানতে চাইলে সচিব বলেন, এখন সংসদ অধিবেশন নেই তাই অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
দ্রুত নির্বাচন করার লক্ষে সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। এর আগে গত ২৭ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে অধ্যাদেশ জারি করে নির্বচান করবো।
মন্ত্রি পরিষদ সচিব বলেন, সংশোধন আইনে নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য নতুন করে শাস্তির বিধান করা হয়। সংশোধন আইনে আচরণ বিধি ভঙ্গের জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনে এই বিধান ছিল না। তবে নির্বাচনে দুর্নীতির অভোযাগ প্রমাণে ৭ বছরের জেল ও জরিমানার ব্যবস্থা ছিল, যা সংশোধন আইনেও রাখা হয়েছে।