এবিএনএ : আধুনিক সময়ে সম্পর্ক বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। অবিশ্বাস, প্রতারণা ইত্যাদি নানা বিষয় সম্পর্ককে করছে কলুষিত। কিন্তু তারপরেও ভালোবাসা এবং বিশ্বাসে ভর করেই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। কঠিন পরিস্থিতির মুখ থেকেও ফিরিয়ে আনা যায় সম্পর্ককে। কিন্তু তার জন্য বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। সেই পন্থা মেনে চললেই বাঁচানো যাবে ভাঙতে বসা যে কোনো সম্পর্ককে। সেই উপায়গুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো।
১. সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে ‘ব্রেক’ নিন : সম্পর্ককে ‘ব্রেক-আপ’ থেকে বাঁচাতে সবার আগে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটু ব্রেক নিন। দিনের বেশিরভাগ সময় ভার্চুয়াল জগতে থাকতে থাকতে সম্পর্কের গুরুত্ব কমে যায় মানুষের কাছে। তাই সম্পর্কে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটু দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
২. স্পর্শ ও সান্নিধ্য : সম্পর্কে স্পর্শ, সান্নিধ্য এই বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই যখন কোনো দম্পতি সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যান, তখন তাদের উচিত একে অপরের স্পর্শ এবং সান্নিধ্যকে আরও জোরালভাবে অনুভব করা। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানো। আর সেই জন্যই ঘুরতে যাওয়ার মতো ভালো পন্থা আর নেই।
৩. সময় বের করা : সোশ্যাল মিডিয়া আর ব্যস্ততার যুগে একে অপরের জন্য সময় বের করা খুবই কঠিন। আর সেই কারণেই দাম্পত্যে জমা হয় দূরত্বের কালো মেঘ। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে একে অপরের জন্য সময় বের করা খুব জরুরি। একে অপরের জন্য ভাবাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই সম্পর্ক টেকাতে প্রেমপত্র লেখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সময় বের করে একে অপরকে প্রেমপত্র লিখুন। একসঙ্গে কাটানো ভাল মুহূর্তগুলোকে মনে করুন। দেখবেন ভালোবাসা বাড়ছে।
৪. সচেতন হওয়া : সম্পর্ক বাঁচাতে নিজেদের সম্পর্কের বিষয়ে সচেতন হোন। সম্পর্ককে পরিণতি দিতে নিজেদের প্রতি দায়বদ্ধ হোন। ঠিক কীভাবে চালালে সম্পর্ক সঠিক দিশায় এগোবে তা নিয়ে দু’জন আলোচনা করুন। তবেই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।
৫. যৌনতা :একটি সম্পর্কের ইউএসপি যৌনতা না হলেও, যে কোনো প্রেমঘটিত সম্পর্কে যৌনতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সম্পর্কে অশান্তি তৈরি হলে, প্রাথমিকভাবে সেই সমস্যাগুলোকে পাশ কাটিয়ে একে অপরের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হোন। একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটান। আদরে আবদারে জটিলতার ক্ষতগুলোকে ভরিয়ে তুলুন।
৬. কাজ ভাগ করে নিন : একসঙ্গে কাজকর্ম করুন। ঘরের যাবতীয় কাজ ভাগ করে নিন। সে রান্না করা হোক বা ঘর সাফাইয়ের কাজ। একসঙ্গে হাত লাগান সব কাজে। দেখবেন দুরত্ব ঘুচে যাবে আসতে আসতে।
৭. কথা বলুন : সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কী জানেন? একে অপরের সঙ্গে কথা বলা। তাই যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতেই চেষ্টা করুন একে অপরের সঙ্গে কথা বলার। কথা বলার মাধ্যমে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করার।