এবিএনএ : বাহিনীর ভেতরের সমস্যার কারণেই বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাইরের কারো যোগসাজশ বা চক্রান্তের প্রমাণ এখন পর্যন্ত মেলেনি।
শনিবার সকালে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সেই সময়ের বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহ করে জওয়ানরা। এর দুই দিন পর আত্মসমর্পণ করে তারা। পরে ড্রেনসহ সদর দপ্তরের বিভিন্ন স্থানে কবর দেয়া ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে ৫৭ জনই ছিলেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। এই ঘটনায় তিনটি মামলা হয়। আর হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর তিনি ১৫২ জনের ফাঁসির পাশাপাশি ১৬১ জন আসামিকে যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ আসামিকে তিন থেকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
পিলখানায় এই বিদ্রোহের ঘটনায় বাহিনীটির সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে যায়। বিডিআরের নাম, পোশাক, লোগো, সাংগঠনিক কাঠামো, পদোন্নতি ইত্যাদি ব্যাপারে পুনর্গঠন করা হয়। নাম পরিবর্তন করে বাহিনীটির নাম রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এছাড়া পরিবর্তন করা হয় বিডিআর বিদ্রোহের আইন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা পেছন থেকে ওই ঘটনার ইন্ধন দিয়েছিল তাদেরকেই বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার করা হয়েছে। অনেককে মৃত্যুদণ্ড, আবার অনেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পেয়েছেন। এছাড়া অনেকে এখনও বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ওই ঘটনার তদন্ত এখনো চলমান আছে। তদন্তে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।’ তিনি বলেন, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত যেসব আসামি পলাতক রয়েছেন তাদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।