এবিএনএ : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ থাকায় এখানে আরো বেশি বিনিয়োগের জন্য ডেনমার্কের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকায়েল হ্যামনিটি উইনথার আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নৈতিক এবং কূটনৈতিক সমর্থন প্রদানের জন্য ডেনমার্কের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বর্তমান রাষ্ট্রদূতের মেয়াদকালে আগামীতে এ সম্পর্ক আরো জোরদার ও সংহত হবে বলেও রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে ডেনমার্কের অব্যাহত সহযোগিতার উচ্ছ্বসিত প্রসংশা করেন রাষ্ট্রপতি।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকায়েল হ্যামনিটি উইনথার বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে বাংলাদেশে ব্রুনেই দারুসসালামের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার হাজা মাসুরাই বিনতি হাজী মাসরি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
বৈঠককালে আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ও ব্রুনেই দারুসসালামের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আগামীতে আরো জোরদার হবে এবং এ সম্পর্ক ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে তিনি দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ব্রুনেই বাংলাদেশ থেকে চামড়া, পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক এবং ওষুধের মতো পণ্য আমদানি করতে পারে।
হাজা মাসুরাই বিনতি হাজী মাসরি বাংলাদেশে তার মেয়াদকালে দু’দেশের সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে বঙ্গভবনে তারা পৌঁছলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্ট পৃথকভাবে তাদেরকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।