এবিএনএ : ১৩.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৩। এরপর আর কত হতে পারে স্কোর? বরিশাল বুলস যখন খুব চেপে ধরেছে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে তখন পথ দেখায় সপ্তম উইকেট জুটি। ২৫ রানে ২ উইকেট পড়ার পর মারলন স্যামুয়েলস হাল ধরেছিলেন। ৪৮ বলে ৪৮ রান করলেন তিনি। ইনিংস শেষ হওয়ার ৮ বল আগে ফিরলেন। সোহেল তানভিরের সাথে সপ্তম জুটিতে এনে দিলেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ রান। তানভির ১৯ বলে ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩০ রানের দারুণ মূল্যবান ইনিংস খেললেন। তাতে বরিশালের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১২৯ রান করেছে কুমিল্লা। হার দিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার কুমিল্লার শুরু এবারের আসরে। মিরপুরে শুক্রবার দুপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই জিততে। কিন্তু শামসুর রহমানের কৃতিত্বে দুটি রান আউটের শিকার তারা। ইমরুল কায়েস (০) এ দিনও ব্যর্থ। ম্যাচের দ্বিতীয় বলে তাইজুল ইসলাম বোল্ড করেছেন তাকে। গত বিপিএলে কুমিল্লায় খেলে সেনসেশন হয়ে ওঠা পেসার আবু হায়দার অন্য ওপেনার খালিদ লতিফকে (১২) ফিরিয়েছেন। এরপর আসেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান স্যামুয়েলস। কিন্তু স্যামুয়েল রান আউট হয়ে ফিরতে দেখলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (১৬) ও ইমাদ ওয়াসিমকে (১)। নিচে নামিয়ে দেওয়া লিটন দাসও (৪) ব্যর্থ আবার। নাহিদুল ইসলাম (৪) থিসারা পেরেরার শিকার। নিয়মিত উইকেট পতনে খুব অল্প রানেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে কুমিল্লার। কিন্তু স্যামুয়েলস ৫ বাউন্ডারিতে চমৎকার ইনিংস খেলে যান। আর পাকিস্তানি পেসার তানভির ব্যাটিংটা বরাবর ভালো জানেন। ১৩ রানে জীবন পেয়েছিলেন। তারপর আবু হায়দারকে দুই ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ইনিংসে শেষ ওভারে এর দুটি। আবু হায়দার অবশ্য ২ উইকেট নিয়েছেন। এভাবেই ১২৯ রান পেয়েছে কুমিল্লা। এই উইকেটে লড়ার মতো স্কোর বলা যাচ্ছে না। জিততে হলে মাশরাফির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নদের বোলিং লাইন আপকে জ্বলে উঠতেই হবে।