এ বি এন এ : নীলফামারীতে এক কলেজ ছাত্রীসহ দু’জনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা শহরের মশিউর রহমান কলেজের পাশে জোড়দরগা নামক স্থান থেকে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন- মাইক্রোবাসচালক নয়ন (২৫) ও মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী লিজা আক্তার (১৮)। লিজা শহরের পূর্ব কুখাপাড়া এলাকার জহুরুল ইসলামে মেয়ে। আর দুই সন্তানের জনক নয়ন নীলফামারী সদর উপজেলার কির্ত্তনীয়া পাড়ার জোয়াদ মিয়ার ছেলে। তিনি উত্তরা ইপিজেডের সনিক কোম্পানির গাড়িচালক।
বারবার প্রেম নিবেদন করে কোনো সাড়া না পেয়ে নয়ন ওই কলেজছাত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন।স্বজনদের আহাজারী জানা গেছে, শনিবার সকালে প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার পথে লিজার গতিরোধ করে নয়ন। এ সময় লিজাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন নয়ন। বিয়েতে সম্মতি না দিলে নয়ন তার পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে লিজাকে জবাই করে হত্যা করে। এরপর নয়ন নিজেই নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। লিজার মা রেহেনা বেগম জানান, প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে আমার মেয়েকে নয়ন রাস্তায় আটক করে বলে তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে না? আমার মেয়ে অস্বীকার করলে সে তার পকেট থেকে ছুরি বের করে। এই দেখে আমার মেয়ে দৌড় দিয়ে পালাতে চেষ্টা করলে পড়ে যায়, আর ঠিক তখন নয়ন তাকে জবাই করে। নীলফামারী সদর থানার ওসি শাহজাহান পাশা বলেন, ‘খবর পেয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’