এবিএনএ : আওয়ামী লীগের এই সাংসদ বলেন, ‘প্রথম চ্যালেঞ্জের বিষয়ে বলতে পারি, ভোট গ্রহণের আর মাত্র এক ঘণ্টা বাকি আছে। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয়—সেটা দেশবাসী দেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে। সেখানে দ্বিতীয়বার ভোট গণনার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জের বিষয়ে বলতে পারি—আর কিছুক্ষণ পর ফলাফল আসতে শুরু করবে। আপনারা তখন দেখতে পারবেন, নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হচ্ছে।’
ভোট দিয়ে স্কুল মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শামীম ওসমান। একজন সাংসদ প্রকাশ্যে ভোট দিতে পারেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিকেরা নির্বাচনের কিছু খুঁজে পাচ্ছিলেন না। আমি চেয়েছি নিজেকে রক্তাক্ত করে আপনাদের খুশি করতে।’
জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে কী হবে—জানতে চাইলে শামীম ওসমান বলেন, ‘আজকের নির্বাচন দেখে বিএনপি নির্বাচনে আসবে। বিএনপির প্রতি আমার এই আহ্বান থাকবে।’ তিনি আইভীর প্রতি অনুরোধ জানান, জয়ী হওয়ার পর তিনি যেন এই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। এই নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার নির্দেশে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন।
আইভী জিতলে আইসক্রিম খাওয়া প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ‘ও (আইভী) না খাওয়াক, আমি খাওয়াব। কারণ, নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে গতকাল রাতে ঢাকা থেকে অনেক সাংবাদিক এসেছিলেন। থাকা-খাওয়ার জায়গা পাচ্ছিলেন না। আমি গরিব মানুষ হলেও খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। দুই-একটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে, আমি নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে বসে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছি।’
ভয়ভীতিতে ভোটারেরা কেন্দ্রে আসছেন না—বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ‘তিনি (সাখাওয়াত) কি লিখিত অভিযোগ করেছেন? উনি ভালো আইনজীবী। তাঁর নির্বাচনী আইন জানা উচিত। তিনি যদি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিতেন, আমিও তাঁর পাশে থাকতাম।’