এ বি এন এ : জেলার রুপগঞ্জের যাত্রামুড়ায় জোবায়দা টেক্সটাইল তুলা কারখানায় পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু সাগর বর্মণকে হত্যার অভিযোগে নাজমুল হুদাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত শিশুর বাবা রতন বর্মণের দায়ের করা মামলায় রোববার রাতে কারখানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (২৪ জুলাই) রাতে চারজনের নাম উল্লেখ ও সাতজনকে অজ্ঞাত করে এ মামলা করেন তিনি। অন্য আসামিরা হলেন- হারুন (৩৫), রাশেদুল ইসলাম (২৬) ও আযহার ইমাম (৩৫)।
২০১৫ সালে খুলনা শহরের টুটপাড়ায় শরীফ মটরসে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু রাকিবের হত্যার ঘটনা আলোড়িত করেছিল সারাদেশকে। হত্যার দায়ে শরীফ মোটরসের মালিক শরীফ (৩৫) ও সহযোগী মিন্টু মিয়া (৪০) ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। মামলার অপর আসামি শরিফ মোটর্সের মালিক শরীফের মা বিউটি বেগমকে (৫৫) খালাস দেয়া হয়। বছর কাটতে না কাটতেই ফের এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটলো।
এবারের ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার যাত্রামুড়ার জোবায়দা টেক্সটাইল তুলা কারখানা। রোববার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ওই কারখানায় কর্মরত শিশু শ্রমিক সাগর বর্মণের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দেয় সহকর্মীরা। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বেলা ৩টার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢামেকে নেয়ার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক আমজাদ হোসেন জানান, পায়ুপথে বাতাস প্রবশে করানোর কারণে শিশুটির শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এতে হার্ট অ্যাটাক হয়ে সে মারা যায়।
একই কারখানায় কর্মরত শিশু সাগর বর্মণের বাবা রতন বর্মন ছেলের অসুস্থতার খবর পান প্রতিবেশীদের মাধ্যমে। রতন বর্মণ বলেন, ‘সংসারের অভাব অনটনের কারণে ওই একই ফ্যাক্টরিতে সাগর, আমি আর সাগরের মা (লাবন্য রাণী) কাজ করতাম। সাগর ৩,১০০ টাকা বেতন পাইতো। সাত মাস আগে কাজে যোগ দিয়েছিল। আজকে আমার ছেলেটারে এরকম করে কেড়ে নিল?’
তিন ভাইয়ের সাগর বর্মণ সবার ছোট। তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কালিয়াজিরা থানার রাজিবপুর গ্রামে বলে জানান রতন বর্মণ।