এবিএনএ : নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও হাজাররীবাগ ট্যানারিতে কাঁচা চামড়া ঢুকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই ঢুকানো এ চামড়া।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ইব্রাহিম লেদার লিমিটেডের শ্রমিকরা রাস্তার ওপর ঠেলাগাড়ি থেকে কাঁচা চামড়া গোডাউনে তুলছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভোরে বেশিরভাগ ট্যানারি মালিকরা কাঁচা চামড়া তুলেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শহিদুল ইসলাম জানান, রাত আড়াইটায় চট্টগ্রাম থেকে চামড়া ভর্তি ট্রাক এখানে আনা হয়। বৃষ্টির কারণে গোডাউনে চামড়াগুলো তুলতে পারেনি। এরপর সকাল আটটায় হাজারীবাগ থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম কোম্পানির কাঁচা চামড়া আটক করেন। চামড়া থানায় নেয়ারও সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু হঠাত্ করে সকাল ১০টায় চামড়াগুলো গোডাউনে তোলা হয়!
এ বিষয়টি সর্ম্পকে জানতে চাইলে ‘ইব্র্রাহিম লেদারের’ কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে, নিজেকে নিরাপত্তা প্রহরি দাবি করে আব্দুল লতিফ জানান, এই কাঁচা চামড়াগুলো আজকের নয়, গতকাল স্যারের ওই ফ্যাক্টরিতে আনা হয়েছিল। আর শুক্রবার সকালে ওই ফ্যাক্টরি থেকে এই ফ্যাক্টরিতে আনা হয়েছে। দফায় দফায় সময় দিয়েও ঢাকার ট্যানারিগুলোকে সাভার চামড়া (ট্যানারি) শিল্পনগরীতে পাঠাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হাজারীবাগে কাঁচা চামড়ার প্রবেশ ঠেকাতে বসানো হয়েছে পুলিশি পাহারা।
শেষ চেষ্টা হিসেবে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ট্যানারি স্থানান্তরে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন মালিকদের। বলা হয়েছিল, এপ্রিলের প্রথম দিন থেকে ঢাকার হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। সেই সময় সীমা শেষ হওয়ার পর হাজারীবাগে চামড়া প্রবেশের চারটি প্রবেশপথে শুক্রবার সকাল থেকে ফোর্স মোতায়েন করার কথা জানিয়েছেন হাজারীবাগ থানার ওসি মীর আলিমুজ্জামান।