এবিএনএ : দেশে এখন কর্মী নেই সবাই নেতা হয়ে গেছে।বাংলাদেশ মনে হয় নেতা উৎপাদনের কারখানা। কর্মী উৎপাদন সংকুচিত হয়ে গেছে। নেতা বেশি হওয়ায় দুর্ভোগও বেশি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার দুপুরে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতা বেশি হওয়ায় তাদের বক্তৃতাও বেশি কিন্তু তাদের সেই বক্তব্য অনেকে শুনতে চায় না, তবুও জোর করে বলে যায়। ’৪৯ সাল থেকে বক্তব্য শুরু করলে আর থামতে চায় না।
আমি যদি শুদ্ধ না হই তবে আরেক জনকে কীভাবে শুদ্ধ হতে বলবো। নিজে শুদ্ধ হয়ে পরে অপরকে শুদ্ধ হতে বলতে হবে। রাজনীতিতে শুদ্ধাচার প্রয়োজন। নেতা-কর্মীদের নিজের ভুল-ত্রুটির বিষয়ে লক্ষ রেখে শুদ্ধাচার পদ্ধতি অবলম্বন করারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে রাজনীতিতে আসার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা পলিটিশিয়ান হতে কেন চান না? পলিটিক্সে ভালোরা না আসা খারাপ। মেধাহীনরা এমপি, মন্ত্রী হয়ে ক্ষমতায় যাবে। হাইব্রিডদের দিয়ে মঞ্চ দখল হয়ে যাবে।
ব্যানার-ফেস্টুন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, রাস্তায় বের হলে ব্যানার-ফেস্টুন দেখতে পাই। রাস্তায় এক বিলবোর্ড আর সামনে এলে দেখি আরেক বিলবোর্ড।
তিনি বলেন, ব্যানার-ফেস্টুন মুছে যাবে কিন্তু হৃদয়ে লেখা নাম কখনো মুছবে না। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়পটে নাম লেখাতে পেরেছিলেন।
শেখ হাসিনার মতো নেত্রী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গত ৪১ বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিক, প্রশাসক এবং সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। এখন বিশ্ব নেতারা প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকেন তিনি কি বক্তব্য দেন তা শোনার জন্য। সেই বঙ্গবন্ধু কন্যা এক সময় ইডেন কলেজের জিএস ছিলেন। আপনাদের মধ্য থেকেই আবার শেখ হাসিনা বেরিয়ে আসবে বলে আশা করি।
ফারজানা আক্তার সুপর্ণার সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিশাত পারভীন প্রমুখ।