এ বি এন এ : দূতাবাসগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়ায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
সোমবার (১৬ মে) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মুখ্য উপসহকারী মন্ত্রী উইলিয়াম ই টড এর সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দূতাবাস শঙ্কা প্রকাশ করছে। বিভিন্ন দূতাবাস তাদের আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করে চিঠিপত্র দিয়েছে। আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছি। মোটরবাইক ও কারের মাধ্যমে আমরা দূতাবাসগুলোতে নিরাপত্তা দিচ্ছি। পায়ে হেঁটেও টহল দেয়া হচ্ছে। আমরা চেকপোস্ট বাড়িয়েছি। সব জায়গায় আমাদের গোয়েন্দা ও পোশাকি পুলিশ মোতায়েন করেছি। যার জন্য তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’
বৈঠকে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘জঙ্গি হামলায় আক্রান্ত না হয়ে ঘটনা ঘটার আগে থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। পৃথিবীর সবাই জঙ্গিদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। দেশীয় জঙ্গি দ্বারা আমাদের দেশ বিচ্ছিন্নভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী নানাভাবে পুলিশ সাজাতে পারছি। এ কারণে তাদের মোকাবিলা করতেও সক্ষম হচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য তারা এসেছিলেন। তাদের ইচ্ছার কথা আমাদের কাছে বলেছেন। আমরা কিভাবে তাদের টেকনোলজির সাহায্য নিতে পারি সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে তাদের ট্রেনিং চেয়েছি, সাহায্য চেয়েছি। আমাদের অব্যাহতভাবে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।’
সব ধর্মের লোকেরা এখানে সমানভাবে চলে। আমাদের মানুষ জঙ্গিবাদ পছন্দ করে না। এছাড়া জঙ্গি-সন্ত্রাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে এই মর্মে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।