এবিএনএ : ঢাকা-চট্টগ্রাম উড়ালপথে দুই’শ পঁচিশ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রস্তাবিত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে । এ এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দুরত্ব দুই থেকে আড়াই ঘন্টায় নেমে আসবে। আজ সকালে সেতু ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত গণচীনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মা মিং চিয়াং এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধিদল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে একথা বলেন। প্রেসব্রিফিংয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফলকালে যে সকল চুক্তি করা হয়েছিল সেসব চুক্তি গুলো বাস্তবায়ন ও ত্বরান্বিত করার নিয়ে দীর্ঘক্ষন চীনের প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি প্রাচীনতম দল ও প্রতিষ্ঠান। চীনের প্রতিনিধি দল আমার সাথে দেখা করতে ও আমাকে অভিনন্দন জানাতে এসেছেন। সেতু মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্রপ্রেস ওয়ের ফিজিক্যাল স্টাডি আবার করা হচেছ। একাজটি সম্পন্ন করতে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। সেতু বিভাগ থেকে কাজের তদারকি করা হবে। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৬ লেন বিশিষ্ট ঢাকা- চট্রগ্রাম এলিভেটেড এক্রপ্রেসওয়ে দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২২৫ কিলোমিটার। চীন সরকার এব্যাপারে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। একাজটি করতে ব্যয় হবে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা । প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি দেয়া আর না দেয়া বিষয়টি পুলিশ প্রশাসের ব্যাপার। পুলিশ কমিশনার এবিষয়ে অনুমতি দিবেন। বিষয়টি আওয়ামীলীগের নয় বলে তিনি জানান। আমেরিকা- যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়াকে আপনি কিভাবে দেখছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদেরকে বলেন, সম্ভাবত ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হচেছন। এটা আমেরিকার অভ্যন্তরীণ বিষয়। যে সরকার আমেরিকায় ক্ষমতায় আসুক তার সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে। তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের অর্থনীতির লাইফ-লাইন। চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিদ্যামান ইপিজেডের পাশাপাশি আরো দু’টি ইপিজেড নির্মিত হলে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে গতিশীলতা বাড়বে। এ বাস্তবতায় যানবাহনের বাড়তি চাপ মোকাবেলায় সরকার ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশের অনুরোধের প্রেক্ষিতে চীন এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে। এসময় সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ বাংলাদেশস্থ চীন দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।