এ বি এন এ : ভাষাসৈনিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এম.পি. বলেছেন, ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজেশন করা হলে ভূমির দুর্নীতি ও জনদুর্ভোগ অনেক কমে আসবে।
আজ কক্সবাজার সার্কিট হাউজে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে কক্সবাজারের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী শরীফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছে। দেশের জমির শ্রেণিবিন্যাস সঠিক নিয়মে করতে হবে। আগামী জুন ২০১৭ এর মধ্যে কৃষি জমি সুরক্ষার লক্ষ্যে সারাদেশে ভূমি জোনিং কাজ সম্পন্ন করা হবে। জমির প্রকৃত মালিককে অধিগৃহীত জমির ক্ষতিপূরণ অথবা পুনর্বাসন দ্রুততম সময়ে করার নির্দেশ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে। অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য বাজার দরের চেয়ে তিনগুণ দেয়ার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। জমির মূল্য কম দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, নামজারি ও জমা খারিজ, রেজিস্ট্রেশন এবং রেকর্ড, জরিপ কাজ একই ছাতার নিচে আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
মতবিনিময় সভায় বিএনপি আমলে অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়া ৫২টি প্লটের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে আলেচনা হয়। কয়লা বিদ্যুৎ স্থাপনের জন্য মহেষখালীতে ১৪০০ একর ও কুতুবদিয়ায় ১২০০ একর জমি অধিগ্রহণ এর মাধ্যমে ১০ হাজার ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক মোশতাক আহমেদ চৌধুরী, এমপি সাইমুম সারোয়ার কমল, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, এডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক, জিপি, কৃষক লীগের নেতা রেজাউল করিম প্রমুখ।