এবিএনএ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থানে রিপাবলিকানদের উগ্রনীতিকে দায়ী করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন,ডোনাল্ড ট্রাম্প উড়ে জুড়ে বসেননি। রিপাবলিকানরা তাদের চরমপন্থী কৌশল দিয়ে যে বীজ বপন করেছেন, তারা এখন ট্রাম্পের প্রার্থিতা নিয়ে সেই বীজেরই ফল ভোগ করছেন। ট্রাম্পের সাফল্যের জন্য রিপাবলিকানদের অনুসৃত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বাধাদানের নীতিকেও দোষারোপ করেন তিনি।
হিলারি বলেন, যখন একবার আপনারা উগ্রনীতি স্বাভাবিক বলে ধরে নেন, তখন আপনারা আরও খারাপ কিছুর জন্য দরজা খুলে দিলেন। এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন যে, মুসলিমদের নিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থীদের কথাবার্তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিব্রতকর হয়ে দেখা দিয়েছে। হিলারি ট্রাম্পের উত্থানে অনুশোচনা করছেন এমন রিপাবলিকানদের উদ্দেশে এক বার্তা পাঠিয়েছেন যেমন কর্ম তেমন ফল। সোমবার এক ভাষণে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রিপাবলিকানদের নীতিকে দোষারোপ করে বলেন, এটিই রিয়াল এস্টেট ডেভেলপার ট্রাম্পের উগ্র প্রচারাভিযানে ইন্ধন যুগিয়েছে।
সোমবার উইসকনসিন ম্যাডিসন ইউনিভার্সিটিতে ভাষণ দেয়ার সময় হিলারি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে বিচারপতি এ্যান্টোনিন স্কালিয়ার মৃত্যুর পর সুপ্রীমকোর্টের বিচারকের শূন্য পদে ট্রাম্প যাকেই নিয়োগ করতে পারেন তাকে ‘একেবারেই ভীতিকর’ বলে বিবেচনা করতে ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানান। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঐ পদে মোরিক গার্ল্যান্ডকে মনোনীত করেন, কিন্তু রিপাবলিকান নেতারা তাকে অনুমোদনের জন্য সিনেট শুনানিতে আসতে দিতে পর্যন্ত অস্বীকার করেন। রিপাবলিকানরা যুক্তি দেখান যে, পরবর্তী প্রেসিডেন্টেরই বিচারক পদে স্কালিয়ার শূন্য স্থানে নিয়োগদান করা উচিত। হিলারি সিনেটের বিচার বিভাগ কমিটির চেয়ারম্যান চাক গ্র্যাসলির কথা উদ্ধৃত করেন। গ্র্যাসলি বলেছিলেন, ওবামাকে বিচারক মনোনীত করতে দেয়া হলে সুপ্রীমকোর্ট গঠনে ভোটারদের মতামত রাখতে দিতে কার্যত অস্বীকারই করা হবে। হিলারি বলেন, বারাক ওবামাকে পুনর্নির্বাচিত করতে ভোট দিয়েছিলেন এমন ৬ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি আমেরিকানদের একজন হিসেবে আমি বলব, আমার কথা উপেক্ষা করা হচ্ছে। আমি সিনেটর গ্র্যাসলিকে তার দায়িত্ব পালনের আহ্বানের সঙ্গে নিজের কণ্ঠস্বরও মেলাচ্ছি। তার উচিত শুনানির আয়োজন করা। এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও ওয়াটারবোর্ডিং আবার চালু করার প্রস্তাব এবং সিনেটর টেড ক্লুজের মুসলিম বসতিগুলোতে নজরদারি জোরদার করার প্রস্তাবে হতবাক হয়েছেন।