এবিএনএ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্ল্যাকমেইল করার মতো স্পর্শকাতর তথ্য রাশিয়ার হাতে রয়েছে। খোদ আমেরিকার গোয়েন্দারাই এ তথ্য মেনে নিয়েছেন। গত মাসে এ সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল, দীর্ঘ তদন্তে সেটার সত্যতা পেয়েছেন তারা।
গত মাসে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এক যৌথ প্রতিবেদনে ওই নথি সংযুক্তির পর মার্কিন রাজনীতিতে ঝড় উঠেছিল। সে সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ওই প্রতিবেদন হস্তান্তর করাও হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ গোয়েন্দারা ট্রাম্পের ব্যক্তিগত কেলেংকারি ও আর্থিক গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। শুক্রবার গোয়েন্দারা জানান, তদন্ত করতে গিয়ে এর কিছু অংশের সত্যতা পেয়েছেন। বাকি অংশের সত্য-মিথ্যা সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নন তারা।
ওই প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া’ দাবি করে ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, এটা একেবারেই ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
৩৫ পৃষ্ঠার গোয়েন্দা প্রতিবেদনে যেসব নথি জুড়ে দেয়া হয়েছিল তা সংগ্রহ করেছিলেন সাবেক ব্রিটিশ গোয়েন্দা ক্রিস্টোফার স্টিলি। একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রথমে রিপাবলিকানদের হয়ে ও পরে ডেমোক্রেটদের হয়ে তিনি এই অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন।
মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ অভিযোগের তদন্তে নেমে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই তথ্যের খোঁজ পায়। তাদের সমন্বিত প্রতিবেদনে ক্রিস্টোফার স্টিলির দলিল সংযুক্ত করলেও তার সত্যতা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি গোয়েন্দারা। এক মাস পর ওই গোয়েন্দারা ক্রিস্টোফার স্টিলির নথিপত্রের কিছু অংশের সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, কয়েকজন রুশ গোয়েন্দার সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনদের যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। তাদের ডজনখানেক কথোপকথনের বিস্তারিত তথ্য আমাদের হাতে এসেছে।