এবিএনএ : ব্র্যাড পিটের সঙ্গে সম্পর্ক চুটে গেছে কিছু দিন আগে। তবে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি যে তারও অনেক আগে থেকে জেয়ার্ড লেটোর ক্রাশ, সেটা ব্র্যাড পিটও জানতেন। ফলে ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’র ভেঙে যাওয়ায় সেই ক্রাশ জেয়ার্ড লেটোই এখন ফ্রন্ট লাইনে!
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, বিচ্ছেদের সময় থেকে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অনেক মানসিক অশান্তিতে ভুগেছেন, তবে তার থেকে শান্তি খুঁজতেই জেয়ার্ডের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে ব্র্যাডের বিরুদ্ধে ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার পর থেকেই তার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ শুরু করেন জেয়ার্ড। সন্তানদের কাস্টডি ব্যাটলের পুরো সময়টাতেও তিনি পাশে ছিলেন অ্যাঞ্জির। ফোনে নিয়মিত যোগাযোগও রাখতেন। সেই সময়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে একসঙ্গে ডিনারেও দেখা গেছে তাদের দু’জনকে।
১৯৯৯ সালে ‘গার্ল ইন্টেরাপ্টেড’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে প্রথম আলাপ হয়েছিল জেয়ার্ড আর অ্যাঞ্জেলিনার। জেয়ার্ড তখন চুটিয়ে প্রেম করছেন ক্যামেরন ডিয়াজের সঙ্গে। তারপর ২০০৪’এ ‘আলেকজান্ডার’এও আবার একসঙ্গে কাজ করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা আর জেয়ার্ড। তারপর থেকেই হলিউডের ওপেন সিক্রেট, জেয়ার্ডের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে অ্যাঞ্জির। স্বাভাবিকভাবেই ব্র্যাডের কাছ থেকেও গোপন ছিল না বিষয়টা।
শোনা যায়, দু’জনের মধ্যে নাকি প্রায়ই ঝগড়া হতো এই নিয়ে। রীতিমতো অনিশ্চয়তায় ভুগতেন ব্র্যাড। জেয়ার্ড কত প্রতিভাবান, ওঁর সঙ্গে কাজ করা কতটা মজার, এসব সারাক্ষণই জোর গলায় বলে বেড়াতেন অ্যাঞ্জি! একবার নাকি ব্র্যাডকে লুকিয়ে জেয়ার্ডকে সিনেমার স্ক্রিপ্টও পাঠিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা। পুরনো স্পার্ক ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। অনেকে বলছেন, জোলির নতুন করে প্রেমে পড়াটা নাকি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।