এ বি এন এ : গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা নিয়ে তো কোনো প্রশ্ন উঠেনি তাহলে কল্যাণপুরের ঘটনা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে কেন বলে প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এ ছাড়াও জঙ্গিবাদ দমনে সরকার গোঁজামিল দেয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। রিজভী বলেন, সরকার জনগণের মতামত উপেক্ষা করছে বলেই জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তিনি বলেন, কেন জঙ্গিবাদ দমনে গোঁজামিল দেওয়া হচ্ছে? যা সত্য তা নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো হতাশা দেখা দেয় না। গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে তো কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। কল্যাণপুরের ঘটনা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে কেন? সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আপনাদের আচরণের কারণেই জঙ্গিবাদী অশুভ শক্তির উত্থান হচ্ছে। জঙ্গিদের জীবিত ধরা হচ্ছে না কেন- এটা এখন জাতির প্রশ্ন। কেন জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িত অন্যদের পাকড়াও করা হচ্ছে না? তিনি বলেন, আজ হয়ত ক্ষমতার দম্ভে তারা মনে করছে, তাদের অপকর্ম কেউ দেখছে না, তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। কিন্তু জনগণের কাছে একদিন এগুলোর সব জবাব দিতে হবে। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ১৯৭৫ পূর্ববর্তী কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “জঙ্গিবাদীরা যাকে অনুসরণ করতে পারে, সেই লোক আজকে সরকারের মুখপাত্র। সেই সন্ত্রাস, জঙ্গি এবং গণতন্ত্রের শত্রু হিসেবে তারা (হাসানুল হক ইনুরা) এক সময়ে কাজ করেছে। আজকে ইনুরা জঙ্গিবাদ দমনের নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বক্তব্য রাখেন। তিনি আরো বলেন, আজকে যদি কোনো দানব, আজকে যদি কোনো শৃগাল মুরগীর নিরাপত্তার জন্য আফসোস করে, এটা যেমন উপহাস যোগ্য হবে, আজকে হাসানুল হক ইনু জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, এটাও উপহাসযোগ্য।