এবিএনএ : টেকসই গণতন্ত্র ও বিকাশমান গণমাধ্যম উভয়ের জন্যই প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রয়োজন এবং গণমাধ্যমকে গণতন্ত্রের সঙ্গী বলে বর্ণনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা পরিপ্রেক্ষিত আয়োজিত ‘জনগণের গণমাধ্যম মনস্কতা-বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সকল গণমাধ্যমকর্মীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই গণতন্ত্রের জন্য যেমন প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রয়োজন, তেমনি বিকাশমান ও প্রসারমান গণমাধ্যমের জন্যও তা প্রযোজ্য। আর এজন্যই শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমের বিকাশের ক্ষেত্রে প্রসারের সাথে সাথে যুগোপযোগী নীতি ও আইন প্রণয়নে কাজ করছে।’
গণতান্ত্রিক সরকার কখনও গণমাধ্যমের প্রতিপক্ষ নয় উলেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বরং গণমাধ্যমকে রাষ্ট্র বহির্ভূত জঙ্গি ও মাফিয়া চক্রের চাপ মোকাবিলা করতে হয়। আর শেখ হাসিনার সরকার সেখানেও গণমাধ্যমের পক্ষ নিয়েছে। কারণ, সরকার গণমাধ্যমকে গণতন্ত্রের সঙ্গী মনে করে।’
তিনি বলেন, দেশে টেলিভিশন চ্যানেলকে বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করার সাথে সাথে ২৮টি এফএম রেডিও, ৩২টি কমিউনিটি রেডিও, নূতন নূতন পত্রপত্রিকার নিবন্ধন দিয়ে গণমাধ্যমের অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটিয়েছে সরকার, বিকাশ ঘটেছে অনলাইন সংবাদপত্রের জগতেও।
অতীতের দিকে নির্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অতীতের স্বৈর ও সাম্প্রদায়িকতার জঞ্জাল থেকে মুক্ত হয়ে গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। এবং অনভিপ্রেত অগণতান্ত্রিক চর্চা থেকে গণমাধ্যমকে রা করতে সরকার বদ্ধপরিকর। মনে রাখতে হবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মানুষের কল্যাণের জন্য, উস্কানি বা গুজব ছড়ানোর জন্য নয়।’
মন্ত্রী এসময় সদ্যপ্রকাশিত গবেষণাপত্রটি প্রণয়নের জন্য পরিপ্রেক্ষিত সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের গবেষণা গণমাধ্যম নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে নূতন প্রেরণা যোগাবে। সরকারের পাশাপাশি সকলকে গণমাধ্যমের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
পরিপ্রেক্ষিত এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মনজুরুল আহসান বুলবুল ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান। পরিপ্রেক্ষিতের প্রকল্প ও গবেষণা ব্যবস্থাপক অয়ন দেবনাথ ‘জনগণের গণমাধ্যম মনস্কতা-বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ গবেষণাপত্রটি উপস্থাপনকালে বাংলাদেশের মানুষের গণমাধ্যম সংশিষ্টতার ওপর আলোকপাত করেন।