এ বি এন এ : মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এ দিন ধার্য করেন। এ দিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা (শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাক) প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এ নতুন দিন ধার্য করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। তিনি আরও বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। অন্যদিকে মামলার অপর আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছেন। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের কবরে ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজের ঘরে থাকলেন কীভাবে? ওই বক্তব্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রচার হওয়ায় ১০০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে দাবি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকি। এ পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন এবি সিদ্দিকি। পরে আদালত মামলাটি শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।