এ বি এন এ : বির্তকিত ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের সংশোধিত-২০১৬ বাতিল ও জেএসএসের এক তরফা বৈঠকের প্রতিবাদে ডাকা বাঙ্গালী ৫ সংগঠনের সকাল-সন্ধ্যার হরতাল টায়ারে আগুন পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে চলছে খাগড়াছড়িতে।
পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার নেতাকর্মীরা রবিবার সকাল ৬টা থেকে মাঠে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করে। পরে হরতালকারীদের বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর সভা সংলগ্ন মুসলিমপাড়াস্থ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে শাপলা চত্ত্বরে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সময় পার্বত্য চুক্তিসহ সংশোধিত-২০১৬ ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন বাতিলের দাবী জানান নেতৃবৃন্দরা।
হরতাল চলাকালে খাগড়াছড়ি জেলা থেকে দুরপাল্লা ও অভ্যান্তরিন সড়কে কোন যানবাহণ চলাচল করেনি। বন্ধ ছিল সব ধরণের যান চলা চলা ও দোকান পাট। হরতাল চলাকালে গুরুত্বপূর্ণ সড়ককে অবস্থান নেয় পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মী ও পিকেটাররা। পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত নিরাপত্তায় ছিল পুলিশ বাহিনী।
প্রসঙ্গত: পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠকের প্রতিবাদে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, সমঅধিকার আন্দোলন, পার্বত্য গণ পরিষদ, বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ আজ রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাক দেয়।
সরকার বাঙালিদের দাবি না মেনে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১-এর সংশোধনী ২০১৬ বাস্তবায়নের জন্য খাগড়াছড়িতে অবস্থিত কমিশনের প্রধান কার্যালয় বাদ দিয়ে রবিবার রাঙামাটিতে বৈঠক ও কমিশন আইনকে বিতর্কিত দাবি করে আইনটি বাতিলসহ বৈঠক স্থগিত করার দাবি জানানো হয়।
২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর এই সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে পার্বত্য ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই মাসে ১৩ (সেপ্টেম্বর) তিনি যোগদান করেন। তবে আইন সংশোধনের পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের দাবির মুখে তিনি কাজ শুরু করতে পারেননি। সর্বশেষ ১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ভোটিং সাপেক্ষে ‘পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয় এবং ৯ আগস্ট তা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশ করে।