এবিএনএ : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা চলবে-এই মর্মে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবার প্রকাশ পেয়েছে। শিগগিরই রায়ের কপি বিচারিক আদালতে যাবে। রায়ের কপি পেলেই বিশেষ জজ আদালত এই মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু করবে। এই মামলায় ২০০৮ সাল থেকে জামিনে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
হাইকোর্টের দেয়া রায়ের নয়মাসের মাথায় পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ পেল। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোহম্মদ নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের উপ-পরিচালক মনিরুল হক। ঐ কর্মকর্তা তদন্ত শেষে মামলার অভিযোগ থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দিয়ে দুদকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে ওই প্রতিবেদন বাতিল করে পুনরায় দুদক তদন্ত করে ওই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এতে বলা হয়, চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অফ চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্পাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি করেছেন।
এরপর মামলাটি বাতিল চেয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১(ক) ধারা মোতাবেক একটি আবেদন দাখিল করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করে। রুলে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
সাত বছর পর গত বছরের শুরুতে দুদক মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নিলে হাইকোর্টের দেওয়া রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে গত বছরের ৩০ আগস্ট আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন হাইকোর্ট। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর রুল খারিজ করে দিয়ে মামলার কার্যক্রমের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত রায় দেন। সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।