এবিএনএ : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে অথবা যেসব কর্মকর্তা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই অবিচার করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিকার পেতে পারে বিশ্বব্যাংক।
পদ্মা সেতু মামলায় হারের পর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর আস্থা ফেরাতে বিশ্বব্যাংককে ‘পদক্ষেপ নিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, সন্দেহের বশে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তার প্রতিকার হওয়া দরকার। বিশ্বব্যাংককে অবশ্যই বাংলাদেশের আস্থা অর্জন করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য দেশগুলো যেন মনে করে, কোনো অবিচার হলে বিশ্বব্যাংক তার প্রতিকার করে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। প্রতিকার ক্ষতিপূরণ দিয়েও হতে পারে। আবার যেসব কর্মকর্তা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমেও হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কেউ যদি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কারও সম্মানহানি করে, তাহলে ওই ব্যক্তি নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিতে পারেন। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি কানাডার আদালত দুর্নীতির ওই অভিযোগকে গালগল্প, জল্পনা-রটনা ও অনুমানভিত্তিক বলে উল্লেখ করে মামলা বাতিল করে দেয়। অনুষ্ঠানে আইনসচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক এবং বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ বক্তব্য দেন। মোট ৪২ জন বিচারক এই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।