এ বি এন এ : ম্যাচটা হবে ‘ডু অর ডাই’। যে হারবে, তারই বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে আইপিএল থেকে। পরশু বুধবার দিল্লিতে এই ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচেই মুখোমুখি সাকিব আল হাসানের কলকাতা আর মুস্তাফিজুর রহমানের হায়দরাবাদ। কোয়ালিফায়ার ওয়ানে মুখোমুখি হবে গুজরাট লায়ন্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
গতকাল ইডেনের ম্যাচটি ছিল কলকাতার জন্য ‘ডু অর ডাই’। হায়দরাবাদের কাছে হেরে গেলেই আইপিএল থেকে বিদায় হয়ে যেত কলকাতা। কিন্তু স্পিনারদের দাপটে হায়দরাবাদকে হারিয়েই স্বপ্নটা টিকিয়ে রেখেছে কলকাতা। বুধবার সাকিব-মুস্তাফিজের আরও একটি দ্বৈরথ শিহরণ ছড়াবে সবার মধ্যেই। দীর্ঘ সময় ধরে শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদের সম্ভাবনা ছিল কোয়ালিফায়ার ওয়ানে খেলা। এই ম্যাচের সুবিধা হলো, জিতলে সরাসরি ফাইনাল, হেরে গেলেও আরও একটা ম্যাচ পাওয়া যাবে। এলিমিনেটরের জয়ী দলের সঙ্গে খেলতে হবে। কিন্তু টানা দুটি ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব শেষ করা মুস্তাফিজের দল পয়েন্ট টেবিলের তিনে থেকে শেষ করেছে।
অবশ্য বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য এটা এক দিক দিয়ে সুখবর। আরও তিন ম্যাচ আইপিএলে বোলিং করতে পারেন মুস্তাফিজ। এলিমিনেটর, এরপর কোয়ালিফায়ার টু। এই দুটি ম্যাচ জিতলে ফাইনাল। শেষ চারে কলকাতার অবস্থান চতুর্থ।
গুজরাট লায়নস প্রথম আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স হয়েছে দ্বিতীয়। বেঙ্গালুরুর ব্যাপারটা দারুণ। মৌসুমের শুরুর দিকে সাতে অবস্থান করে কেবল বিরাট কোহলির কারিশমাতেই সাত থেকে দুইয়ে তারা। বেঙ্গালুরুরও তো বাদ পড়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কাছে গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচটায় হেরে গেলেই দফা-রফা হয়ে যেত বেঙ্গালুরুর। কিন্তু কোহলি তা হতে দেননি।
শেষ চারে গুজরাট আর বেঙ্গালুরুর ম্যাচটিকে প্লে অফ। এই ম্যাচে যে জিতবে, সে সরাসরি খেলবে ফাইনালে। আর পরাজিত দল আরও একটি সুযোগ পাবে কলকাতা-হায়দরাবাদের মধ্যকার ‘এলিমিনেটর’ ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে। সেই কোয়ালিফায়ার টু-এর জয়ী দল উঠবে ফাইনালে।
মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী মাঠের এই ম্যাচে রায়নার দলের বিপক্ষে ‘সুপারহিরো’ কোহলির ব্যাট কোন সুর ছড়িয়ে দেবে, সেটি এখন দেখার।