এ বি এন এ : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বাজেটকে ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলার ব্যাখ্যা দিল বিএনপি।
অর্থমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবের পর সংসদে না থাকা বিএনপির পক্ষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় একে প্রতিক্রিয়াশীল বলেছিলেন রিজভী।
তার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে মুহিত বলেন, ‘অস্তিত্বহীনরা’ তার দেওয়া বাজেটকে ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলছে।
অর্থমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নয়া পল্টনে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, আমর মনে হয়, অর্থমন্ত্রী প্রতিক্রিয়াশীল শব্দটির অর্থ ঠিকমতো বুঝতে পারেননি।
বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল বাজেট এজন্য বলে যে, এই বাজেট মানুষের বিপক্ষে, গণবিরোধী।
তিনি বলেন, কৃষিজাত যন্ত্রপাতির ওপর কর বাড়াচ্ছেন, এটা কি গণবিরোধী নয়? আপনি মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীদের অবসরের অবলম্বন সঞ্চয়পত্রের ওপর সুদ কমিয়ে দিয়েছেন, তার ওপর উৎসে কর কেটে নেবেন, এটা কি গণবিরোধী নয়? রুটি-আটার ওপর কর বাড়িয়েছেন, এটা কি গণবিরোধী নয়? যারা দেশকে বিভাজন করেন, উচ্চবিত্তকে আরও উচ্চ করেন, তাদের টাকা আরও বাড়ান এবং যারা গরিব তাদের আরও গরিব করেন, তারা হচ্ছেন প্রতিক্রিয়াশীল।
যেহেতু উনি (অর্থমন্ত্রী) গণবিরোধী বাজেট করেছেন। সুতরাং প্রতিক্রিয়াশীল শব্দটি উনার পক্ষে এড়িয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক বলে মনে করেন রিজভী।
মুহিতকে ‘গুণী মানুষ’ অভিহিত করে নিজের ছাত্র আন্দোলনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শব্দচয়ন ‘বোঝার’ ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর সেই অভিজ্ঞতার অভাবকে গুরুত্ব দেন রাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রিজভী।
তিনি বলেন, যারা ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে এসেছেন, মানুষের পক্ষে-বিপক্ষে যেসব শব্দ, টার্ম এন্ড টার্মিওলোজি ব্যবহার করা হয়, তাদের জানার কথা। যেহেতু উনার (মুহিত) ক্যারিয়ারটাই হচ্ছে- আমলা ছিলেন, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন, তারপরে ওখান থেকে মন্ত্রিত্ব করছেন, তার প্রতিক্রিয়াশীল শব্দটা না জানাটা স্বাভাবিক।