এ বি এন এ : অনুমোদনহীন বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, দেয়াল লিখন ও তোরণ সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, নইলে ‘ব্যাপক অভিযান’ চালিয়ে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। শুক্রবার গুলশানে সিটি করপোরেশনের নতুন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আপনারা নিজে থেকে এসব সরিয়ে নিন। নইলে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা এগুলো উচ্ছেদ করবে।” সিটি করপোরেশন এলাকায় ব্যানার, বিলবোর্ড, ফেস্টুন টানাতে করপোরেশনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানোর ক্ষেত্রে তা মানছে না অভিযোগ করে মেয়র আনিসুল বলেন, কর্মসূচি শেষ হলেও এসব ব্যানার না সরানোয় সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলের এ রকম ২০০ বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করা হয়েছে। বাকিগুলো অপসারণে ‘ব্যাপক’ অভিযান চালানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়েছেন, তারা দয়া করে নিজ দায়িত্বে এসব সরিয়ে নিন।” রাজধানীর বিভিন্ন দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন হিসেবে লাগানো সাইনবোর্ডের কোনো অনুমোদন নেই জানিয়ে সে ব্যাপারেও ‘দ্রুত’ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উত্তরের মেয়র। “আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। এগুলো না সরালে জেল-জরিমানা করা হবে।” গত ১৪ অগাস্ট সিটি করপোরেশন এলাকার অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, দেয়াল লিখন ও তোরণ অপসারণ করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে ২২ আগস্ট এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতেও দুই সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আনিসুল বলেন, “দায়িত্ব নেওয়ার পরই অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণের কাজ শুরু করেছি। উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর সিটি করপোরেশনের অবস্থান আরও কঠোর হয়েছে।” আনিসুল হক এ সময় তার গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরে বলেন, ‘নগর অ্যাপের’ সাহায্যে সহজেই নাগরিক ভোগান্তি নিয়ে অভিযোগ করা যাচ্ছে। সেগুলোর সমাধানও দেওয়া হচ্ছে।