লাইফ স্টাইল

স্বামী ‘যৌন নির্দেশিকা’ স্ত্রীর জন্য ভয়ঙ্কর

এবিএনএ : স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক যৌন সম্পর্কে দুজনের সমান অংশ্রগ্রহণ থাকতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে স্বামী যদি মনে করে তার ইচ্ছেমতোই বা তার নির্দেশিত পদ্ধতিতেই স্ত্রী যৌন আচরণ করবে তাহলে যৌন সম্পর্ককালীন একজন নারীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মনোবিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই বিষয়টি উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যের কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন, যেসব নারী উপলব্ধি করেন তাদের যৌনসঙ্গী পরিপূর্ণতা বা যথার্থতার বিষয়টি তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে তারা অধিক যৌন জটিলতায় ভুগতে পারেন।

গবেষকরা বলেন, সঙ্গী নির্ধারিত ‘যৌন নির্দেশিকা’ একজনের সামর্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যথার্থতা বা পরিপূর্ণতার সংজ্ঞা হচ্ছে, নিখুঁতের জন্য সংগ্রাম, উচ্চমানের কার্যক্ষমতার বিন্যাস, মাত্রাতিরিক্ত সমালোচনামূলক স্ব-মূল্যায়নের প্রবণতা এবং অন্যের দ্বারা নেতিবাচক মূল্যায়ন সম্পর্কে উদ্বেগ। এটি একজন সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যা জীবনের সব ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। মানুষের যৌন জীবনে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব খুঁজতে পূর্বে কোনো গবেষণা হয়নি।

গবেষণাটির নেতৃত্ব দেন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব সাইকোলজির অধ্যাপক জোয়াকিম স্টোয়েবার। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত ৩৬৬ জন নারীর ওপর দুটি জরিপ চালানো হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, সঙ্গী নির্ধারিত ‘যৌন নির্দেশিকা’ নারীদের ওপর নেতিবাচক যৌন ধারণা এবং যৌন কার্যাবলীতে অস্বাভাবিকতা তৈরি করে। নির্দিষ্ট করে বললে বলা যায়, সঙ্গীর পছন্দমতো যৌন পদ্ধতি নারীদের যৌন উত্তেজনা হ্রাস করে। গবেষকরা আরও খুঁজে পেয়েছেন, এতে যৌন শ্রদ্ধার পরিমাণ কমে যায় এবং যৌন উদ্বেগ দেখা দেয়।

গবেষকেরা বলেন, এটি একটি মানসিক সমস্যা। যা নারীদের নিজস্ব যৌন ধারণায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। নারীদের এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য চিকিৎসক, থেরাপিস্ট এবং পরামর্শকদের কাজ করতে হবে। আর্কাইভ অব সেক্সসুয়েল বিহেভিয়ার জার্নালে গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়।

Share this content:

Back to top button