আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

চলে গেলেন ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসীকে প্রতিরোধকারী রশিদ

এবিএনএ: অনেক চেষ্টার পরও বাঁচানো যায়নি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা করা খ্রিষ্টান সন্ত্রাসীকে প্রতিরোধকারী নাঈম রশিদকে। ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। এই সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারত কিন্তু সেসময়ে অসম সাহস দেখিয়ে হামলাকারীকে জড়িয়ে ধরে রাখেন রশিদ। তার চাপে পড়েই হাত থেকে অস্ত্র ফেলে দেন ব্রেন্টন টারান্ট নামের ওই সন্ত্রাসী।

ঘটনার পর হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফয়জল সৈয়দ জানিয়েছিলেন, কীভাবে মসজিদে গুলিবৃষ্টির মধ্যেই ‘জনৈক ব্যক্তি’ ছুটে এসে সন্ত্রাসীকে জাপটে ধরেন। বন্দুক না নামানো অবধি চেপে ধরে রাখেন। ফয়জল বলেন, তিনি যে বেঁচে গিয়েছেন তা ওই মানুষটির জন্যই। তাকে খুঁজে পেতে চান তিনি।

পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদ থেকে আসা নাঈম রশিদ তিনি ক্রাইস্টচার্চের একজন শিক্ষক ছিলেন। আল নুর মসজিদে হামলার ভিডিওতে একটি অংশে দেখা গেছে আল-নুর মসজিদে গুলিবিদ্ধ হবার আগে নাঈম রশিদ হামলাকারীকে বাধা দেবার চেষ্টা করেন। তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

রশিদকে সবাই বীর হিসেবে দেখছেন। তার ভাই খুরশিদ রশিদ জানিয়েছেন ভিডিওটি দেখার পর তার সাহসী ভূমিকার জন্য তারা গর্বিত। ‘তিনি ছিলেন একজন সাহসী ব্যক্তি এবং আমি সেখানকার লোকজনের কাছে শুনেছি, সেখানে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন বলেছেন যে তিনি সেই হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করে কয়েকজনের জীবন বাঁচিয়েছিলেন।’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে তাকে পাকিস্তানের নয়, ক্রাইস্টচার্চে সমাধিস্থ করা হবে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন রশিদের ২১ বছর বয়সি ছেলে তালহা। তালহা সম্প্রতি নতুন একটি চাকরি পেয়েছিলেন এবং শিগগিরই তার বিয়ে করার কথা ছিল।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button