আন্তর্জাতিক

‘এক চীন নীতি’ নিয়ে ট্রাম্পকে হুমকি বেইজিংয়ের

এবিএনএ : ‘‌এক চীন নীতি নিয়ে ঝামেলা করলে ফল ভাল হবে না। ’‌ ‘‌গ্লোবাল টাইমস’‌ এর সম্পাদকীয়তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এভাবেই হুমকি দিল চীন। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‌এ ধরণের খামখেয়ালিপনায় বিশ্বাস করে না বেজিং। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এশিয়া–পেসিফিক নির্দেশাবলীকে সম্মান জানানো উচিত। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আমাদের একার দায় নয়। ’‌

তাইওয়ানকে প্রাধান্য দেওয়াতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চটেছে বেইজিং। রবিবার হিউস্টনে মার্কিন রিপাবলিকানদের সঙ্গে দেখা করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইঙ ওয়েন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না বলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি দেখা না করলেও, সাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজও তার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। ওয়াশিংটনে সাইয়ের প্রবেশ রুখতে আগেই লিখিত হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বেইজিং। কিন্তু তাতে আমল দেয়নি আমেরিকা।

টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ বলেছেন, ‘কার সঙ্গে দেখা করব বা করব না সেই সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরাই নিই। এতে চীন নাক গলাতে পারে না। তাইওয়ানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতেই ইচ্ছুক আমেরিকা। ‌ বাণিজ্য-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে চীন আমেরিকাকে বাড়তি ছাড় না দিলে, তাইওয়ানকে নিয়ে বেইজিংকে সমর্থন করার অর্থ হয় না।

উল্লেখ্য তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে ‘এক দেশ নীতি’ চালু করে চীন। তাতে সমর্থন জানিয়ে ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয় আমেরিকা। তবে ট্রাম্প প্রথম থেকেই বেসুরো। নির্বাচনে জেতার পর নিয়ম ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসি়ডেন্ট সাই ইঙ ওয়েনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। বাণিজ্য ক্ষেত্রে তাদের বাড়তি সুবিধা না আদায় করতে বারবার চীনকেই একহাত নিয়েছেন তিনি। খামখেয়ালি ট্রাম্প তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্রের তকমা দিয়ে ফেলেন কিনা এখন এই আশঙ্কাতেই ভুগছে চীন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button