“গোলাম হতে চাই না”– আদালতে নিজ বক্তব্য রাখলেন সাংবাদিক আনিস আলমগীর
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে থাকা সাংবাদিক আনিস আলমগীর আদালতে বলেন, ক্ষমতাকে প্রশ্ন করাই তাঁর পেশাগত দায়িত্ব


এবিএনএ: ঢাকায় আদালতে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম রিমান্ডের আদেশ দেন।
আদালতে রিমান্ড শুনানিতে আনিস আলমগীর বলেন, “একটি নির্দিষ্ট দল আমাকে তাদের গোলাম বানাতে চায়। কিন্তু আমি তাদের হালুয়া-রুটি খাবো না। সাংবাদিক হিসেবে আমার কাজ ক্ষমতাকে প্রশ্ন করা। আমি তা করবো।”
এর আগে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার ইন্সপেক্টর মুনিরুজ্জামান আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন। আদালতে আনিস আলমগীরকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হাজির করা হয়। তিনি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরেই আদালতে ওঠেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে বলেন, সাংবাদিকতার আড়ালে আনিস আলমগীর দেশদ্রোহী কার্যক্রম ও উস্কানিমূলক বক্তব্যে জড়িত। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী নাজনীন সুলতানা বলেন, তিনি একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও শিক্ষক, এবং তার বক্তব্য সাংবাদিকতার স্বাধীনতার অংশ।
আদালতে নিজ বক্তব্যে আনিস আলমগীর বলেন, “যুদ্ধে তালেবানরা আমাকে গ্রেপ্তার করেছিল। মৃত্যু ভয় আমাকে আর তাড়াতে পারে না। খালেদা জিয়ার আমলেও প্রশ্ন করেছি, শেখ হাসিনার আমলেও করেছি, এখনো করি এবং করবো।”

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরও কিছু গ্রুপ দেশের অবকাঠামো ধ্বংস ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম চালানোর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া ও টেলিভিশন টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠন পুনরায় সক্রিয় করার প্রচেষ্টা চলছে।
আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ৫ দিনের রিমান্ডে রাখার আদেশ দেন।




