আইন ও আদালতবাংলাদেশলিড নিউজ

রাগীব আলীকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত

এবিএনএ : সিলেটের কথিত দানবীর রাগীব আলীকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারত। সিলেট সুতারকান্দি স্থলবন্দর দিয়ে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ রাগীব আলীকে নিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে।

দু’টি মামলায় গ্রেফতার এড়াতে রাগীব আলী সপরিবারে পালিয়ে ভারতের করিমগঞ্জে চলে যান। পলাতক আসামি হিসেবে তিন মাস সেখানে থাকার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। বুধবার ভারতীয় পুলিশ করিমগঞ্জের একটি রেষ্ট হাউস থেকে তাকে আটক করে।

এর আগে গত ১২ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় সিলেটের জকিগঞ্জ স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ রাগীব আলীর পুত্রকে আব্দুল হাইকে আটক করে। পরে দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

মামলার অন্যতম আসামি ও রাগীব আলীর ঘনিষ্ঠ দেওয়ান মোস্তাক মজিদও কারাগারে রয়েছেন। ৩ মাস আগে দুটি মামলায় চার্জশিট দাখিলের পর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে পরিবাবের সদস্যদের নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী। জালিয়াতি মামলার অপর আসামি তারাপুরের সেবায়েত পংকজ গুপ্ত জামিনে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, সিলেটের তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি করে বন্দোবস্ত নেন রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই। এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম আবদুল কাদের বাদি হয়ে রাগীব আলী ও আবদুল হাইকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করে।

গত ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান পুনরুদ্ধারের রায় দেন। এ রায়ে ১৭টি নির্দেশনা দেয়া হয়। এর মধ্যে এ মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশও দেয়া হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সিলেট মহানগর বিচারিক হাকিম আদালত এক আদেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

গত ১০ জুলাই রাগীব আলী ও ছেলেকে অভিযুক্ত করে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। ১০ আগস্ট দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে পরদিন ১১ আগস্ট তারা ভারতে পালিয়ে যান। এ অবস্থায় দুই আসামির অনুপস্থিতিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button