আমেরিকালিড নিউজ

মিনিয়াপোলিসের পুলিশ বিভাগ ভেঙ্গে ফেলার পরিকল্পনা

এবিএনএ : যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে গত সোমবার ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিন। এর পরেই গর্জে ওঠে দেশটি। হত্যার জেরে আলোচনায় আসা মিনিয়াপোলিসের স্থানীয় কাউন্সিল সদস্যরা সেখানকার পুলিশ বিভাগই ভেঙ্গে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, যাকে চলমান আন্দোলনের বড় অর্জন মনে করা হচ্ছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগ ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন মিনিয়াপোলিস সিটি কাউন্সিলের নয় সদস্য। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার তারা এমন ঘোষণা দেন।

কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট লিসা বেন্ডার বলেন, ‘আমরা মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগকে ভেঙে ফেলতে একমত হয়েছি। মিনিয়াপোলিসবাসীর নিরাপত্তার জন্য আমরা নতুন মডেলের কমিউনিটি গড়ে তুলব।’ কাউন্সিলের ১৩ সদস্যের মধ্যে ৯ সদস্য এতে একমত হয়েছেন বলেও জানান লিসা বেন্ডার।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিনিয়াপোলিস সিটি কাউন্সিলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা এই অঙ্গীকার করেছেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান আন্দোলনের বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলের ১৩ জন সদস্যের মধ্যে ৯ জনই শহরে ‘জননিরাপত্তার একটি নতুন মডেলে’র কথা বলছেন।

রোববার সিটি কাউন্সিলের ১৩ জন সদস্য বিক্ষোভকারীদের সামনে এসে স্থানীয় পুলিশ বিভাগকে ভেঙ্গে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন এবং এর পরিবর্তে জননিরাপত্তায় নতুন মডেল তৈরির কথা বলেছেন, যা সত্যিকার অর্থেই কমিউনিটিকে নিরাপদ রাখবে। মেয়র জ্যাকব ফ্রে আগে এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে বিক্ষোভকারীদের কথা শুনেছেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের একজন কলিন পাওয়েল। তিনি বলছেন, সামনের নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পকে ভোটই দেবেন না।

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে গড়ে ওঠা বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনকে যেভাবে মোকাবিলা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কঠোর সমালোচনা করে পাওয়েল বলেছেন, প্রেসিডেন্ট সংবিধান থেকে সরে যাচ্ছেন। অবশ্য ট্রাম্পও যথারীতি এর জবাব দিয়ে পাওয়েলকে ‘অত্যন্ত অতি মূল্যায়িত’ বলে খোঁচা দিয়েছেন। কলিন পাওয়েল সম্ভবত একমাত্র আফ্রিকান-আমেরিকান যিনি যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান ছিলেন।

বিক্ষোভ দমনে আর্মি নামানোর যে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প, এ নিয়ে দেশটির সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে, তাতে সর্বশেষ সংযোজন পাওয়েল। আফ্রিকান আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড মিনিয়াপোলিসে পুলিশি হেফাজতে নিহত হন গত ২৫ মে এবং তার মৃত্যুর জের ধরে দেশটিতে তীব্র বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন তৈরি হয়েছে। এদিকে, পরিস্থিতি কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করায় নিরাপত্তামূলক কিছু পদক্ষেপ প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিউইয়র্কে এক সপ্তাহ ধরে চলা কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে এবং ট্রাম্প বলেছেন, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে তিনি ন্যাশনাল গার্ডকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button