জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

নির্বাচনে ৩ পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে ভারত

এবিএনএ: বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদীয় নির্বাচনে ভারত তিনজন পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে। ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা গতকাল মঙ্গলবার ওই তিন পর্যবেক্ষকের নাম চূড়ান্ত করেছেন। ২৮ ডিসেম্বর তাঁরা বাংলাদেশ যাবেন। ভোট দেখে দেশে ফিরবেন ৩১ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর। ওই তিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন অফিসার আরিজ আফতাব, ছত্তিশগড়ের মুখ্য নির্বাচন অফিসার সুব্রত সাহু ও ভারতের নির্বাচন কমিশনের সচিব সুমন কুমার দাস। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণেই এই তিন পর্যবেক্ষক ঢাকা যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন দেখতে অন্যান্য দেশও পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে। এই পর্যবেক্ষকদের অনেকে সেই দেশের সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের সঙ্গে যুক্ত। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা কম। এর একটা কারণ, ভোট যখন হচ্ছে সেই সময় অধিকাংশ দেশে বড়দিন ও খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের ছুটি থাকবে। তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেক দেশ পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারছে না।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের ভোট কতটা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ হচ্ছে, এই পর্যবেক্ষকেরা তা দেখবেন। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাঁরা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ১২ ডিসেম্বর ভারতের নবনিযুক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার রোকেবুল হক। দুই তরফই এই সাক্ষাৎকারকে ‘সৌজন্যমূলক’ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় মোট ছয়টি আসনে এই প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহৃত হবে। এ নিয়ে ওই দেশে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক ও আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুনীল অরোরার সঙ্গে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর ওই বৈঠকে ইভিএম ও তার কার্যকারিতা নিয়ে দুই পক্ষে মতবিনিময় হয়। কমিশন সূত্রের খবর, হাইকমিশনারকে বলা হয়, ইভিএম নিয়ে ভারতেও কোনো কোনো মহলে সংশয় রয়েছে। প্রত্যেকবার ভোটের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রধানত পরাজিত দলের পক্ষ থেকে কারচুপির অভিযোগ করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তবে ব্যাপক হারে ইভিএমে কারচুপি করা যায় না। কমিশন ভুলত্রুটি শুধরে ইভিএমকে নিখুঁত করে তুলতে সচেষ্ট বলে হাইকমিশনারকে জানানো হয়।
বাংলাদেশে ভোট দেখতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের আগ্রহ প্রবল। মানবাধিকার রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এবং বিভিন্ন ‘থিংক ট্যাংক’-এর সদস্যরাও ভোট দেখতে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে ভিসার দরখাস্ত করেছেন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button