আবারও কলমবিরতির ডাক এনবিআর সংস্কার পরিষদের, সোমবার দেশজুড়ে কর্মসূচি
নানা দাবি ও এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে এবার তিন ঘণ্টার কলমবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে যাচ্ছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ


এবিএনএ: আবারও কলমবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’। আগামী সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে পালিত হবে এ কর্মসূচি। এতে অংশ নেবেন এনবিআরের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি অতিরিক্ত কর কমিশনার হাসান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার এবং মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা। এসময় তারা জানান, এনবিআরকে বিভক্ত করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও নীতি নামে পৃথক দুটি বিভাগ গঠনের প্রক্রিয়ায় সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব রাখার দাবিতে কর্মসূচির আয়োজন।
তবে বাজেট পাস সংক্রান্ত সংসদীয় কার্যক্রম থাকায় রোববার কর্মসূচি না হয়ে তা সোমবারে স্থগিত রাখা হয়েছে। ঢাকার দপ্তরগুলোতে অফিস প্রাঙ্গণে কর্মসূচি চললেও দেশের অন্যান্য এলাকায় নিজ নিজ দপ্তরে একই সময়সীমায় পালন করা হবে কর্মসূচি।
এছাড়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজস্ব ভবনের নিচতলার ফ্লোরে ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমস বিভাগের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত সভায় ৩০১ সদস্যের একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে তারেক রিকাবদার সভাপতি ও সেহেলা সিদ্দিকা মহাসচিব মনোনীত হন।
বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ জুন ‘কেমন এনবিআর চাই’ শীর্ষক সেমিনারের জন্য কক্ষ বরাদ্দ চাওয়া হলেও অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে আবারও নিচতলায় সভা করতে হয়েছে। এনবিআর কর্তৃপক্ষ একইভাবে গত ২ জুনেও কর্মীদের সভায় বাধা দিয়েছিল।
এছাড়া বৃহস্পতিবার এনবিআরের জারি করা এক অফিস আদেশে ছয়জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয় ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। ঐক্য পরিষদের দাবি, এই কমিটিতে তাদের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি এবং পূর্বে কোনো আলোচনাও হয়নি, যা প্রমাণ করে কর্তৃপক্ষ সংস্কার নিয়ে আন্তরিক নয়।
এনবিআরের বিতর্কিত দুই ভাগে বিভক্তির প্রস্তাব এবং চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে পূর্বেও কর্মসূচি পালন করেছে ঐক্য পরিষদ। যদিও অর্থ মন্ত্রণালয় আলোচনার আশ্বাস দিয়েছিল, আন্দোলনকারীরা এখনো এনবিআর চেয়ারম্যানকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংগঠনের দাবি, আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বদলি ও হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং রাজস্ব ভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে উত্তেজনা বাড়ানো হয়েছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।