কলম্বো টেস্ট: শ্রীলঙ্কার দাপটে দ্বিতীয় দিনেই কোণঠাসা বাংলাদেশ
নিশাঙ্কার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও চান্ডিমালের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় দিনেই ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা


এবিএনএ: কলম্বো টেস্টে প্রথম দিনের শেষে ব্যাট হাতে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ, দ্বিতীয় দিনে বোলিংয়েও হতাশাজনক পারফরম্যান্স উপহার দিল। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের দাপটে দ্বিতীয় দিন শেষে ম্যাচ একপ্রকার নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নিয়েছে স্বাগতিক দল।
নিশাঙ্কার নির্ভার সেঞ্চুরি, চান্ডিমালের দৃঢ়তা
বাংলাদেশকে মাত্র ২৪৭ রানে থামিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। ওপেনার লাহিরু উদারার ৪০ রানের ইনিংসের পর মূল দৃশ্যপটে আসেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দিনেশ চান্ডিমাল। দুজনে গড়ে তোলেন ১৯২ রানের বিশাল জুটি। নিশাঙ্কা অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন ১৪৬ রানে (২৩৮ বলে, ১৮ চার)। চান্ডিমাল মাত্র সাত রান দূরে থেকে ৯৩ রানে আউট হয়ে যান। উইকেট দুটি আসে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের ঝুলিতে।
বাংলাদেশের বোলিংয়ে ছন্দহীনতা
বাংলাদেশের বোলাররা দ্বিতীয় দিনেও কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি। শুরুতেই এবাদত বল হাতে এলেও অন্যপ্রান্তে ছিল স্পিন। নাহিদ রানার উপর ভরসা রাখতে পারেননি অধিনায়ক শান্ত, যদিও নতুন বলে তাকে আক্রমণে আনার পরামর্শ ছিল বোলিং কোচ শন টেইটের। রানা ১২ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ছিলেন ব্যর্থ, হৃদয়কেও বোলিংয়ে আনা হয়নি। নাঈম হাসান ৮ ওভারে দেন ৪৫ রান। তুলনামূলক নিয়ন্ত্রিত ছিলেন শুধু তাইজুল।
প্রথম ইনিংসে আড়াইশ’ রানের সংগ্রহে থামল বাংলাদেশ
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই এবাদতের উইকেট হারিয়ে যায় বাংলাদেশ। তাইজুলের ৩৩ রানের ইনিংসেই কোনো রকমে ২৪৭ পর্যন্ত পৌঁছায় দলটি। এই ইনিংসটি টিকে ছিল মাত্র ৭.৩ ওভার।
মুশফিক-লিটনের আত্মঘাতী শট
এক পর্যায়ে বাংলাদেশ যখন ৭৬ রানে ৪ উইকেট হারায়, তখন ভরসা হয়ে ওঠেন মুশফিক ও লিটন। দুজন মিলে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। কিন্তু এরপরই দুটি ব্যর্থ শটে ফিরে যান দুজনেই—লিটন ৩৪ এবং মুশফিক ৩৫ রানে।
লাঞ্চের পর সাদমান-শান্তর ব্যর্থতা
শুরুর দিকে এনামুল ও মুমিনুল দ্রুত আউট হয়ে গেলে দায়িত্ব নেয় সাদমান ও শান্ত। কিন্তু লাঞ্চের পর পরই দুজনই ফিরে যান পরপর। সাদমান ৪৬ ও শান্ত ৮ রানে আউট হন।
সোনালের চমক জাগানো অভিষেক
প্রথমবার জাতীয় দলে খেলা সোনাল দিনুশা বাজিমাত করেছেন। ৩ উইকেট নিয়ে তিনি বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের মূল নায়ক। তাঁর শিকার হয়েছেন লিটন, মুশফিক এবং শেষ উইকেট তাইজুল।