বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইট বিপর্যয়: ক্লাউডফ্লেয়ারের ত্রুটিতে এক্স, চ্যাটজিপিটিসহ বহু সাইট অচল
বাংলাদেশসহ নানা দেশে কয়েক ঘণ্টা ডাউন ছিল গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট, কারণ অস্বাভাবিক ট্রাফিক ও কারিগরি জটিলতা


এবিএনএ: বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের ইন্টারনেট বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে ক্লাউডফ্লেয়ার নামের ওয়েব অবকাঠামো ও কনটেন্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির কারিগরি ত্রুটির কারণে। বাংলাদেশসহ বহু দেশের ওয়েবসাইটে কয়েক ঘণ্টা ধরে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। সমস্যা দেখা দেয় বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে।
সংবাদভিত্তিক পোর্টাল, এক্স (আগের টুইটার), চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের চেষ্টা করলে ব্যবহারকারীদের জানানো হয়, ‘ক্লাউডফ্লেয়ারের সমস্যার কারণে পেজটি লোড হচ্ছে না।’ অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বারবার রিফ্রেশ করার পরও খুলছিল না।
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংস্থা ক্লাউডফ্লেয়ার ওয়েবসাইটগুলোর নিরাপত্তা, কনটেন্ট ডেলিভারি, ডিডস আক্রমণ প্রতিরোধ এবং ভিজিটর শনাক্তকরণসহ নানা সেবা দিয়ে থাকে। কোম্পানির দাবি অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ ওয়েবসাইট তাদের কোনো না কোনো সেবা ব্যবহার করে।
বিবিসির খবরে জানা যায়, মঙ্গলবার হঠাৎ ক্লাউডফ্লেয়ারের এক সেবায় অস্বাভাবিক ট্রাফিকের চাপ তৈরি হয়। এর ফলে সার্ভারে কারিগরি জটিলতা দেখা দিলে বিশ্বব্যাপী সাইটগুলোতে প্রবেশ ব্যাহত হয়। এখনো সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিপর্যয়ের মাত্রা বোঝা যায় যখন ‘ডাউন ডিটেক্টর’ নামের ওয়েবসাইটও অচল হয়ে পড়ে, যা সাধারণত বিভিন্ন সাইটের ডাউন থাকার তথ্য প্রদর্শন করে। এতে বোঝা যায়, প্রভাব ছিল অত্যন্ত ব্যাপক।
এর আগেও বিভিন্ন ক্লাউড ও সাইবার অবকাঠামোতে এমন ত্রুটির ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে অ্যামাজনের ওয়েব সার্ভিস ডাউন হয়ে ক্যানভা, ডুয়োলিঙ্গোসহ এক হাজারের বেশি সাইট ও অ্যাপ অচল হয়ে যায়। অনুরূপ সমস্যা দেখা দিয়েছিল মাইক্রোসফটের অ্যাজিওরেও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারনেটের সার্বিক অবকাঠামোর ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা এ ধরনের বিপর্যয়কে বড় ঝুঁকিতে পরিণত করতে পারে। তাই ভবিষ্যতে আরও প্রস্তুত থাকা জরুরি বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।




