৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পুড়ছে শীতের ইউরোপ


এবিএনএ: আফ্রিকা থেকে ধেয়ে আসা তীব্র দাবদাহে পুড়ছে শীত প্রধান ইউরোপের দেশ স্পেন ও পর্তুগাল। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, স্পেনের দক্ষিণ-পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব পর্তুগালে শুক্রবারের তাপমাত্রা ছিল ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৬.৬ ফারেনহাইট)। এতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ইউরোপের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে। ১৯৭৭ সালে গ্রিসের এথেন্সে ৪৮ ডিগ্রি (১১৮ ফারেনহাইট) তাপমাত্রা উঠেছিল। এরপর ২০০৩ সালে পর্তুগালে ৪৭.৪ (১১৭.৩ ফারেনহাইট) ও স্পেনে ২০১৭ সালে ৪৭.৩ (১১৭.১ ফারেনহাইট) তাপমাত্রাই হলো সর্বোচ্চ। ইতিমধ্যে ইউরোপের আবহাওয়া বিষয়ক গ্রুপ মেটেওঅ্যালার্ম দাবদাহের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। তারা জানাচ্ছে, শুধু স্পেন-পর্তুগালেই নয়, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও তাপমাত্রা বেড়েছে। জার্মানির শুক্রবারের তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২১ ডি. সেলসিয়াস। এছাড়া যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বের তাপমাত্রা ৩৩ ডি.সে. (৯১.৪ ফা.) পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্কতা জারি করে বলছে, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমে শনিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়ে এটি বেশি কিছুদিন স্থায়ী হতে পারে। তাই জনগণকে সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এদিকে, ইতালি তার কেন্দ্র এবং উত্তরাঞ্চলজুড়ে লাল সতর্কতা জারি করেছে, যা রোম, ফ্লোরেন্স এবং ভেনিসের পর্যটক হটস্পটের অন্তর্ভুক্ত।
সুইডেনের একদল বিজ্ঞানী বলছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গ্লাসিয়ের হিমবাহ ও উত্তরের সবোর্চ্চ চূড়াগুলো তাদের উচ্চতা হারাতে পারে। নরওয়ের পাবলিক সড়ক প্রশাসন ড্রাইভারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, সড়কে চলাচলের সময় দাবদাহ থেকে বাঁচতে সুড়ঙ্গে আশ্রয় নেয়া হরিণ, মেষ জাতীয় পশুর প্রতি খেয়াল রাখতে। যাতে প্রাণিরা দুর্ঘটনায় না পড়ে। তাপমাত্রা ইউরোপের বেশিরভাগ সময় একটি বার্ষিক সমস্যা। তবে গরম, শুষ্ক অবস্থার ফলে তাপমাত্রা আরো বেশি বেড়ে যায়।