লাইফ স্টাইল

লিচুর যত গুণাগুণ

এ বি এন এ : বর্তমানে সুস্বাদু ও মুখরোচক ফল লিচুর পুরো মৌসুম চলছে। এখন বাজারে, যত্রতত্র এই ফলটির দেখা মিলছে। লিচু ক্ষতিকর কেমিক্যালমুক্ত কিনা তার তোয়াক্কা না করেই এখন সবাই ফলটি কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। উপরন্তু মৌসুমী ফল বলে কথাতো! তবে লিচুতে কী কী খাদ্যগুণ আছে তা হয়তো অনেকেই জানেন না।

 

নিচে মৌসুমী এই ফলটির খাদ্যগুণ নিয়েই আলোচনা করা হলো :

 

১. চীনারা লিচুকে ভালোবাসা ও রোমান্সের ফল হিসেবে মর্যাদা দেয়। তাদের বিশ্বাস, যারা লিচু মুখে পুরবে, তারাই এর প্রেমে পড়বে।

 

২. লিচুতে রয়েছে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রোটিন। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুর ৬৬ ভাগই হলো ক্যালরি।

 

৩. এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। খাদ্য হজমকারী আঁশ, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে জমা করে।

 

৪. লিচুতে রয়েছে অলিগোনল নামের এক ধরনের উপাদান। একে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লুয়েঞ্জা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ উপাদান রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, ত্বকে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমায়।

 

৫. লিচু ক্যান্সার থেকে মানবদেহকে দেয় সুরক্ষা। এটি ক্যান্সার তৈরিকারী কোষ ধ্বংস করে। এতে অবস্থিত ফ্ল্যাভনয়িডস বা ভিটামিন ‘পি’ স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

 

৬. শরীর সুস্থ থাকার জন্য অপরিহায্য ভিটামিন ‘সি’। লিচুতে এ ভিটামিন রয়েছে প্রচুর; যা ত্বক, হাড় এবং কোষের সজীবতা রক্ষা করে।হৃদরোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন ‘সি’ অব্যর্থ বলেই বিবেচিত।

 

৭. ভিটামিন ‘বি’-এর মজুতঘর হিসেবে লিচুকে ধরা হয়।থিয়ামিন, নিয়াসিন নামের ভিটামিনগুলো লিচুকে করেছে আরো বেশি কার্যকর।এসব ভিটামিন শরীরের বিপাক ক্ষমতা বাড়ায়।

 

৮.এতে অবস্থিত পটাসিয়াম এবং খনিজের মতো উপাদান হূদরোগের ঝুঁকি কমায়। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button