বিনোদনলিড নিউজ

রূপের ঝলক, বাহুর জোর দুটোতেই বাজিমাত

এবিএনএ: বিনোদনের আরেক নাম রেসলিং। ডাব্লিউ ডাব্লিউ ই। অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের ভক্ত আছে বিশ্বজুড়ে। রেসলিং শুধু পুরুষদের খেলা নয়, দারুণ সব লড়াইয়ের কৌশল দেখিয়ে মঞ্চে ঝড় তোলেন অনেক সাহসী নারী। তাদের মাঝে এমন কয়েকজন নারী রেসলার আছেন, যাদের গ্ল্যামার হলিউড নায়িকাদেরও ঈর্ষান্বিত করে। তেমন কয়েকজন গ্ল্যামারাস নারী রেসলারকে নিয়ে এই লেখা।

অ্যালেক্সা ব্লিস : আমেরিকান রেসলার অ্যালেক্সা ব্লিসের আসল নাম অ্যালেক্সিস কোফম্যান। দারুণ আকর্ষণীয় চেহারা আর ফিগারের অধিকারী এই ব্লন্ড ২০১৩ এর ২০ সেপ্টেম্বরে পেশাদার রেসলার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এরপর স্ম্যাক ডাউন উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন হন পরপর দুই বার। গত বছরের প্রো রেসলিং ইলাস্ট্রেটেড ম্যাগাজিনের জরিপে ৫০ জন নারী রেসলারের মধ্যে তার নাম ছিল দুই নম্বরে।

মারাইজ ওলেট: কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত মারাইজ ওলেট পেশাদার রেসলার। এছাড়া তার আরো কয়েকটি পরিচয় আছে। তিনি অভিনেত্রী, গ্ল্যামার মডেল, রিয়েলিটি স্টার ও বিজনেস ওম্যান। ২০০৬-এ পেশাদার রেসলিংয়ে যোগ দেন। প্রথম নারী রেসলার হিসেবে তিনি ডাব্লিউ ডাব্লিউ ই ডিভাস চ্যাম্পিয়নশীপ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হন।

লানা: ব্লন্ড রেসলার লানার আসল নাম ক্যাথরিন জয় পেরি। ফ্লোরিডায় জন্মগ্রহণ করা এই রেসলারের বাবা-মা পর্তুগীজ ও ভেনিজুয়েলার বাসিন্দা। লানা ২০১৩ সালে ম্যানেজার হিসেবে রেসলিংয়ে যোগ দেন। রেসলার হিসেবে তার অভিষেক হয় ২০১৬ সালে। লানার সাবেক প্রেমিক ছিলেন আমেরিকান ফুটবলার ইসাই মুস্তাফা। পরে রেসলার মিরোস্লাভ বার্নিয়াশেভকে বিয়ে করেন। সুন্দরী রেসলার লানার আরেক গুণ হলো তিনি গায়িকা এবং অভিনেত্রী। ২০০৯ সালে ‘নো মিনস ইয়েস’ নামের একটি ব্যান্ডের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। সে সময় ‘উড ইউ লাইক ইট’সহ তিনটি গান গেয়েছেন লানা।

ম্যান্ডি রোজ:  সুন্দরী ম্যান্ডি রোজের আসল নাম আমান্ডা সাকোমানো। ২০১৫ সালে রেসলিংয়ে যোগ দেন আইরিশ-ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত এই সুন্দরী। সেই থেকে সব তরুণ ভক্তের মন জয় করে চলেছেন।

পেইজ: কালো চুলের নজরকাড়া বৃটিশ সুন্দরী পেইজকে বেশ নাজুক মনে হলেও তিনিও কিন্তু রেসলার হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন। সান্তাস লিটেল হেলপার নামে একটি সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন। পেইজের আসল নাম সারায়া জেইড ডেভিস। তিনি সবচেয়ে কম বয়সে (২১ বছর) ডিভাস চ্যাম্পিয়নশীপ অর্জন করেন। ২০০৫ সালে রেসলিংয়ে যোগ দেয়া পেইজ অবশ্য গত বছর অবসর নিয়েছেন। ২০১৭ সালে তার কিছু সেক্স টেপ ও ফটোগ্রাফ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিলেন এই সুন্দরী।

নিকি বেলা: আরেক কালো চুলের সুন্দরী রেসলার নিকি বেলার আসল নাম স্টেফানি নিকোল গার্সিয়া কোলেস। ২০০৭ সালে রেসলিংয়ে যোগ দেয়ার পর দুইবার ডিভাস চ্যাম্পিয়নশীপে জয়ী হন। চলতি বছরের মার্চে এই সুন্দরী রেসলার অবসর নিয়েছেন।

মারিয়া কানেলিস: এই সুন্দরী রেসলারের কথা না বললে এই তালিকা অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। হঠাৎ দেখলে লাল চুলের এই রেসলারকে বলিউড স্টার ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের মতো মনে হয়। ২০০৪ সালে রেসলিংয়ে যোগ দেন গ্ল্যামারাস মারিয়া। রেসলিং ছাড়া গানেও তিনি পারদর্শী। ২০১০ সালে তার একক অ্যালবাম ‘সেভিন সিনস’ মুক্তি পায়। এছাড়া অভিনয়েও পাকা মারিয়া। চারটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button