তেল কমাতে চায় সরকার, আপত্তি জানালেন ব্যবসায়ীরা — নতুন করে বৈঠক শনিবার
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে আপত্তি জানালেন তেল ব্যবসায়ীরা, পুনরায় বৈঠক ২৭ জুলাই


এবিএনএ: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশে ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমানোর পরিকল্পনা হলেও, তেল ব্যবসায়ীদের আপত্তিতে সেই প্রস্তাব কার্যকর হয়নি। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ব্যবসায়ীরা প্রস্তাবিত মূল্য হ্রাসকে অবাস্তব ও ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি বলে দাবি করেছেন।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, ট্যারিফ কমিশন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশন, ও দেশের প্রধান ভোজ্যতেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিটি, মেঘনা, টি কে ও বসুন্ধরা গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বৈঠকে উপস্থাপিত ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম ছিল যথাক্রমে ১০৭৯ ও ১০১৭ ডলার। যা ১৫ এপ্রিলের তুলনায় সয়াবিনে ০.৭% বৃদ্ধি ও পাম অয়েলে ৩% হ্রাস পেয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতি লিটার পাম অয়েলে ১৯ টাকা এবং সয়াবিনে ১ টাকা কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, কমিশনের এই বিশ্লেষণ বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম আরও বেশি বলে তারা জানান। এছাড়া, কমিশনের হিসাবে ভ্যাট ও আমদানি ব্যয় যুক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
মেঘনা গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তসলিম শাহরিয়ার বলেন, ‘আমাদের হিসাবে এখন আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম ১১০০ ডলারেরও বেশি। মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দাম কমানো সম্ভব নয়।’
সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজার মূল্য নতুন করে বিশ্লেষণ করা হবে। এর ভিত্তিতে ২৭ জুলাই আবার বৈঠকে বসবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সরকার ভোক্তা পর্যায়ে তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে চাইলেও, ব্যবসায়ীরা বলছেন— আন্তর্জাতিক বাজারের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় দাম কমানো সম্ভব নয়। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য তেলের মূল্য কিছুটা স্বস্তির সম্ভাবনা আপাতত অনিশ্চিত রয়ে গেছে।