আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

টিউলিপের নির্বাচনী প্রচারণায় লন্ডন মেয়র সাদিক খান

এবিএনএ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী টিউলিপ সিদ্দিকী যুক্তরাজ্যের ৮ জুনের মধ্যবর্তী সাধারণ নির্বাচনে লড়বেন লেবার পার্টির টিকেটে লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্ন আসন থেকে লড়বেন। শনিবার তার নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ দিয়েছেন লন্ডনের মেয়ের সাদিক খান।
হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্নের বাসিন্দাদের টিউলিপকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সাদিক খান বলেন, হার্ড ব্রেক্সিট আটকাতে চাইলে অবশ্যই টিউলিপকে ভোট দিন। ক্যামডেন নিউ জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার টিউলিপের প্রচারণায় যোগ দিয়েছেন। এই আসনের ৭৫ শতাংশ ভোটার যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, টিউলিপ বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে। হ্যাম্পস্টিডে একটি নির্বাচনী প্রচারণা শেষে স্থানীয় সংবাদপত্র নিউ জার্নালকে দেয়া সাক্ষাতকারে লন্ডনের মেয়র বলেন, থেরেসা মে দ্রুত নির্বাচন ঘোষণা করেছেন তিনি হার্ড ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার উপর একক কর্তৃত্ব চান। যদি আপনি হার্ড ব্রেক্সিট না চান তাহলে ৮ জুন টিউলিপ সিদ্দিকীকে ভোট দিন।
তিনি যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীকে ব্রেক্সিট সম্পর্কিত সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করেছেন টিউলিপ সিদ্দিকী। লন্ডনবাসী ও হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্নের ১৭ হাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করছেন টিউলিপ সিদ্দিকী। যে মানুষটি বলছে আমরা ইইউয়ের সঙ্গে ভালো একটি চুক্তি চাই কারণ এর অর্থ হবে চাকরি, প্রবৃদ্ধি ও নিরাপত্তা তার নাম টিউলিপ সিদ্দিকী। নির্বাচনের আরো ৫ সপ্তাহ আছে, আর আমরা টিউলিপের মতো মেধাবী প্রার্থীদের নির্বাচনে জেতাতে সর্বোচ্চ পরিশ্রম করবো।
নির্বাচনী প্রচারণায় টিউলিপ সিদ্দিকী বলেন, তার নির্বাচনী এলাকার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি এবং কিলবার্নে তার মা বাবা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর কন্যা। আমি মানুষকে মনে করিয়ে দিতে চাই, স্কুল ও জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার (এনএইচএস) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও হার্ড ব্রেক্সিট রুখতে আমাদের লেবার পার্টিকে সমর্থন করা প্রয়োজন।
২০১৫ সালের মে মাসে লেবার পার্টির টিকেটে হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্ন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন টিউলিপ। এরপর গত সেপ্টেম্বরে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পরে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তাকে ছায়ামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। গত জানুয়ারিতে করবিন ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ছায়া মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করেন টিউলিপ।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button