

এবিএনএ: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিতে কিংবা গভর্নিং বডির সদস্য হতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) টাকা দিতে হবে কেন? এমন প্রশ্ন করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম। আজ শনিবার সকালে পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন প্রশ্ন তোলেন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিতে কিংবা গভর্নিং বডির সদস্য হতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) টাকা দিতে হবে কেন? এমপিদের দায়িত্ব হলো এলাকার উন্নয়নে কাজ করা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য করা, ঠিকাদারি কাজ ও টিআর-কাবিখার কাজে কমিশন নেওয়া সাংসদদের কাজ নয়। এ অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক কিছু শেখা যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় বিভিন্ন জনসভার চেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে উৎসাহ পাই। কারণ, এখান থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। শিক্ষকদের সান্নিধ্যে নিজেকে অনেক সমৃদ্ধ করা যায়।’ একটি সন্তান সুশিক্ষায় শিক্ষিত হলে সে কখনো সন্ত্রাসী বা মাদকাসক্ত হতে পারে না বলেও মনে করেন তিনি। ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘সবার আগে ছাত্রত্ব অর্জন করতে হবে, এরপর হবে রাজনীতি। আর ছাত্রদের রাজনীতি হবে শিক্ষার রাজনীতি। যে সংস্কৃতি আমাকে চরিত্রহীন, সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত করে, সে সংস্কৃতি পরিহার করে আমাদের সুস্থধারার সংস্কৃতি ধারণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজ বা রাষ্ট্রকে সব সময় দোষ দিয়ে লাভ নেই, পরিবারই পারে একজন সন্তানকে ভালো চরিত্রবান ও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। কারণ, আপনার সন্তান কখন, কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে সে খোঁজ আপনাকেই রাখতে হবে। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ইভটিজিং ও মাদক এগুলো থেকে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে দূরে থাকতে হবে।’ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন-পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সালাম কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পিরোজপুর পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মালেক প্রমুখ।