লাইফ স্টাইল

ঘর সাজাতে চিত্রকর্ম

এবিএনএ : প্রত্যেকের জন্যেই শান্তির আবাস হল তার নিজ ঘর। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বাসায় ফিরে ঘরের পছন্দের কোন জিনিসের দিকে তাকালেই আমাদের সব ক্লান্তি চলে যায়। আবার ঘরের সাজসজ্জার মধ্য দিয়ে আমাদের রুচিবোধেরও পরিচয় পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব কম খরচেও কিন্তু নিজের মনের মতো করে ঘরকে সাজিয়ে নেওয়া যায়। চাইলে চিত্রকর্ম ও ফটোগ্রাফ দিয়েও সাজাতে পারেন আপনার ঘর। দেয়ালে কোনো চিত্রকর্ম লাগালে তা ঘরের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। একইসঙ্গে তা আপানার ঘরেও এনে দিবে এক শৈল্পিক ছোঁয়া।

চিত্রশিল্পীদের মতে, একজন মানুষের রুচি কেমন বা তিনি কোন পেশার, তা সেই ব্যক্তির ঘরের চিত্রকর্ম দেখে বোঝা যায়। ঘরকে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় করতে সবসময় খুব নামীদামি শিল্পীর আঁকা পেইন্টিং ঝুলাতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বেশ রঙিন একটি সাধারণ ছবিও পুরো ঘরের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। চাইলে বড় ক্যানভাস কিনে নিজেও আঁকিবুঁকি করে নিতে পারেন। নিজের হাতে রং করা একটি ক্যানভাস দেখে প্রতিবারই মনটা খুশিতে ভরে উঠবে। তবে চিত্রকর্মের ক্ষেত্রে হলুদ, টিয়া, সবুজ, লাল ইত্যাদি রংগুলোকে প্রাধান্য দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

এবার কোন ঘর কেমন চিত্রকর্মে সাজাবেন তার জন্য জেনে নিন কিছু পরামর্শ-

করিডর
ঘরে ঢোকার দেয়াল যদি ছোট ও সরু হয়, তবে চিত্রকর্মের আয়তনও ছোট হবে। বড় কোনো পোস্টার দেয়ালে টাঙাবেন না। কাচ দিয়ে বাঁধাই করা ছোট ছোট চিত্রকর্ম ভালো মানাবে। আর দেয়াল বড় হলে বড় বড় পোস্টার পুরো দেয়ালে লাগাতে পারেন। এসব পোস্টারের বিষয় হতে পারে প্রাকৃতিক দৃশ্য অথবা ল্যান্ডস্কেপ।

বসার ঘর
বসার ঘরে বিমূর্ত ধরনের চিত্রকর্ম ঝোলাতে পারেন। চিত্রকর্ম ঝোলানোর সময় যে দেয়ালে আলো আছে তার বিপরীত দেয়ালে ঝোলাতে চেষ্টা করুন। বসার ঘরের আসবাব ও দেয়ালের রঙের সঙ্গে চিত্রকর্ম বাঁধাই করা ফ্রেমের রঙের বিপরীত কনট্রাস্ট রাখতে চেষ্টা করুন। চিত্রকর্ম যেমন রাখতে পারেন, তেমনি প্রিয় ব্যক্তির প্রতিকৃতিও বাঁধাই করে ঝোলাতে পারেন। এসব ছবি বিশেষভাবে আলোকিত করতে প্রয়োজনে ছবির ওপরে স্পট লাইট দিতে পারেন।

শোবার ঘর
এই ঘরে ব্যক্তিগত ছবি রাখতে পারেন। সেটা হতে পারে বিয়ের, হানিমুন কিংবা বাইরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার ছবি। আবার পরিবারের সবার সঙ্গে আড্ডার কোনো অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিও রাখতে পারেন। তবে শোবার ঘরে যে ছবি বা চিত্রকর্ম টাঙাবেন, তা যেন হালকা রঙের হয়।

খাবার ঘর
খাবার ঘরের চিত্রকর্ম হবে সে ঘরের পরিবেশ অনুযায়ী। এ ক্ষেত্রে খাবার টেবিল-সংলগ্ন বা কাছাকাছি দেয়ালে ফল বা সবজি আঁকা চিত্রকর্ম রাখতে পারেন। এছাড়া টাইলসের ওপরে আঁকা চিত্রকর্মও এ ঘরে মানাবে। তবে খাবার ঘরে বেশি চিত্রকর্ম বেমানান। রেফ্রিজারেটর যদি খাবার ঘরে হয়, তবে রেফ্রিজারেটরের ওপরে কৃত্রিম ফলের ঝুড়ির ছবি লাগাতে পারেন।

শিশুর ঘর
বাচ্চার ঘরের চিত্রকর্ম বা পোস্টার—সব কিছুই রঙিন হওয়া বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে বড় বড় রঙিন পোস্টার দিয়ে সাজাতে পারেন। মেয়ে-বাচ্চার ঘরে দিতে পারেন সিনড্রেলা, বারবি ডল, তেমনি ছেলে-বাচ্চার ঘরে সুপারম্যান, বেন টেন ইত্যাদি। এক্ষেত্রে শিশুর পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন।

বারান্দা
বারান্দায় টাঙানো চিত্রকর্ম হতে পারে বিভিন্ন ফুল বা প্রাকৃতিক দৃশ্য। এমন চিত্রই বারান্দার সঙ্গে মানানসই হবে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button