জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

জুলহাজ হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া

এবিএনএ : মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে থাকা ডেমোক্রেট দলের শীর্ষস্থানীয় সিনেটর বেন কার্ডিন রাজধানীর কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় তীব্র পতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এতে তিনি রূপবান পত্রিকার সম্পাদক ও ইউএসএইডের কর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধুর খুনের ঘটনাকে দু:খজনক আখ্যায়িত করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের শেকড় চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। ।

এক বিবৃতিতে সিনেটর বলেন, “ব্যক্তিসত্তার জন্য, কর্মের জন্য, কাউকে ভালবাসার জন্য কিংবা পছন্দের সৃষ্টিকর্তার আরাধনা করার জন্য যদি কারো বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয় তার স্থান আধুনিক সমাজে নেই, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে সুস্পষ্টভাবে এই বার্তা দিতে হবে”।

যুক্তরাষ্ট্র-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে এই ঘটনার সমালোচনা ও নিন্দা জানানো হচ্ছে।

বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে ব্লগার ও সংখ্যালঘু ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে কদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল তারা বাংলাদেশের ঝুঁকিতে থাকা ব্লগারদের আশ্রয় দেবে।

ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জন কিরবি বলছেন, সেই সুযোগ এখনও অব্যাহত থাকবে এবং জুলহাজ হত্যার প্রেক্ষাপটে মি. কিরবি বলছেন এ ধরণের ঘটনাগুলোও যাতে বিবেচনা করা হয়, হোমল্যান্ড দপ্তরকে সেই পরামর্শও দেয়া হবে।

মি. কিরবি জুলহাজ মান্নানকে মার্কিন দূতাবাসের একজন প্রিয় কর্মী এবং সমকামীদের নিয়ে কাজ করে এমন একজন সাহসী এ্যক্টিভিস্ট হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এ ধরণের হত্যাকাণ্ড বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি বলেন, “এই গুপ্তহত্যাগুলো কারা ঘটাচ্ছে আমরা জানি। বিএনপি-জামায়াত নানারূপে ঘটাচ্ছে”।

খবরে জানা যাচ্ছে, জুলহাজ হত্যার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস বা সিপিজে।

একটি টুইট করে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবী করেছেন যুক্তরাজ্যে পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী হুগো সোয়্যার।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button