জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

‘আপত্তিকর কনটেন্টরোধে ফেসবুকের সঙ্গে বসছে সরকার’

এবিএনএ : জঙ্গিবাদসহ আপত্তিকর কনটেন্ট প্রদানকারীদের চিহ্নিত করতে চলতি মার্চ মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ : সাইবার অপরাধ, নিরাপদ ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তারানা হালিম এ কথা জানান। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন।

তারানা হালিম বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিজস্ব নীতিমালায় পরিচালিত হয়। সেখানে একটি অংশ থাকে যে সেই নীতিমালাগুলো যেন কোনো রাষ্ট্রের আইনবিরোধী না হয়। এর যথাযথ বাস্তবায়ন হলে প্রত্যেক দেশের সুবিধা হয়। কারণ আমাদের নিজস্ব কিছু সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রয়েছে, কিছু স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে, আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। কাজেই এ বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি রেখে তাদের (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হয়। সামাজিক, ধর্মীয় মূল্যবোধ, সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো মাথায় রেখে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। নীতিমালার জন্য প্রত্যেক দেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন তদারকি সেল থাকা উচিত, যারা সময় সময় আমাদের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

ফেসবুকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাড়া দিচ্ছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, উসকানিমূলক, জঙ্গিবাদ ছড়ায় এ ধরনের পেজ তারা বন্ধ করেছেন। আমরা অনেকটাই এগিয়ে গেছি। ফেসবুকের অনুবাদকও রয়েছে, তাদের বুঝতে হবে কনটেন্টটা কী। তিনি বলেন, সমস্যা হলো যেগুলো ইউআরএল পাঠাতে হয়, অনেকগুলো থাকে ফেইক (মিথ্যা), তখন ওই ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছি না। আইনের প্রয়োগ তখনই হবে যখন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারব। সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য মার্চ মাসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনার জন্য বসছি, সমস্যাগুলো উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ছড়ায় যে পেইজগুলো বা বিদেশ থেকে যেগুলো পরিচালিত হয় সেগুলোর ব্যাপারে আমরা যেন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারি।

কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার (সিটিও) উদ্যোগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান এবং কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার মহাসচিব শোলা টেইলর বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button