আন্তর্জাতিক

ব্রেক্সিট: নিজ দলেও সমালোচিত তেরেসা মে

এবিএনএ : ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া নিয়ে প্রচণ্ড চাপের মুখে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। একদিকে বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেত্রী নিকোলা স্টার্জেন, অন্যদিকে তার নিজ দলের ভিতরকার চাপ। সব মিলে তিনি এক কঠিন পরীক্ষার মুখে। তিনি ব্রেক্সিট নিয়ে যে নীতি গ্রহণ করেছেন তা টেকসই নয় এবং বৃটিশ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এমন মন্তব্য করেছেন তার নিজের দল কনজার্ভেটিভ পার্টির সিনিয়র একজন এমপি অ্যানড্রু টায়রি। তিনি ট্রেজারি সিলেক্ট কমিটির চেয়ার। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট নিয়ে বাক-সংযমের কারণে যুক্তরাজ্যকে মূল্য দিতে হতে পারে। এতে বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে পরিকল্পিত ব্যবসায় বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট কর্মকাণ্ডকে বিশৃংখল বলে আখ্যায়িত করেছেন বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। অন্যদিকে ওয়েস্টমিনস্টারে ব্রেক্সিট সংলাপকে গভীর উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেন। তাদের এমন সমালোচনার মধ্যে যোগ দিলেন নিজের ক্ষমতাসীন দল কনজার্ভেটিভ দলের সিনিয়র এমপি অ্যানড্রু। তিনি সোমবার হাউজ অব কমন্সে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। বলেছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জটিল কাজে হাত দিয়েছেন। ক্রমাগত এ প্রক্রিয়া অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি স্বীকার করে না নেন যে, সরকার এ বিষয়ে কমপক্ষে স্বচ্ছতা বা বক্তব্য পরিষ্কার না করলে অনেক আর্থিক ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অনিশ্চয়তার বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা নতুন করে সাজাবে। এতে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, যার মূল্য দিতে হবে বৃটেনকে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, ব্যবসায় যে অনিশ্চিত প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয়ে তিনি ভালভাবে সচেতন। তাই তিনি এরই মধ্যে লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ সক্রিয় করার সময় সম্পর্কে একটি ধারণা প্রকাশ করেছেন। তেরেসা মে বলেছেন, আমি ও সরকার এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখবো। তবে সমঝোতা প্রক্রিয়ার প্রতিটি বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলবো না। তবে ব্রেক্সিট নিয়ে কঠোরতা অবলম্বনের কোনে সুপারিশ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তেরেসা।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button